মাত্র ৪ মসলা-ভেষজে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
চারটির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দারুচিনিতে রয়েছে মিথাইল হাইড্রক্সি চ্যালকন পলিমার
ডায়াবেটিসে ভুগলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলে স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে অবশ্যই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হয়।
দুটি ভেষজ ও দুটি মসলা খাবার তালিকায় থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এই উপাদানগুলো আমাদের রান্নাঘরে সব সময়ই থাকে এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্বজন স্বীকৃত। খবর এনডিটিভি।
১. হলুদ: পুষ্টিবিদদের ভাষ্যে, রান্নার মসলা হিসেবে হলুদ খুবই উপাদেয়। হলুদে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ডায়াবেটিসের জটিলতা কমাতে দারুণ কাজ করে। হলুদে রয়েছে প্রদাহবিরোধী উপাদান, যা দেহের অনেক উপকার বয়ে আনে।
২. মেথি: মেথির বীজ হজম শক্তি বাড়ায় এবং কার্বোহাইড্রেড শোষণ ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে। একই সাথে মেথির বীজ হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রদাহ কমায়।
৩. পুদিনা: পুদিনা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করে এবং দেহের শক্তি জোগায়। পুষ্টিবিদরা জানান, খাবার তালিকায় নিয়মিত পুদিনা থাকলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুদিনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।
৪. দারুচিনি: দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর। গবেষণা বলছে, দারুচিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এই চারটির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো দারুচিনি। কারণ, এতে রয়েছে মিথাইল হাইড্রক্সি চ্যালকন পলিমার, যা গ্লুকোজ গ্রহণকে উদ্দীপিত করে।
এর বাইরে ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। লো জিআই সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।