ঘুমানোর যে নিয়ম মানলে মিলবে ৬ উপকার
আসুন জেনে নেই সোজা হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা-
মানুষের জীবনে ঘুম এক অনিবার্য বাস্তবতা। নানাভাবে ঘুমাতে অভ্যস্ত মানুস ঘুমের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। ডান কাত হয়ে, কেউ বামে ঘুরে, কেউ কুচকেসহ আরও বহুভাবে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বিভিন্ন বয়সের মানুস। তবে ঠিক কোন উপায়ে ঘুমালে তা শরীরের জন্য উপকার, জানা থাকলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তা অনেকটা ভূমিকা রাখবে।
২০১৯ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের অন্য কোনো উপায়ে ঘুমানোর চেয়ে পিঠে ভর দিয়ে সোজা হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ডের ব্যথা সম্পর্কিত সমস্যা দূর হয় সবচেয়ে বেশি।
সে জন্য পিঠ বিছানায় সোজাভাবে রেখে, দুই হাত দুপাশে দিয়ে, মাথার পেছনের অংশ বালিশে দিয়ে এবং মুখ ওপরের দিকে খাড়াভাবে রেখে ঘুমানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আসুন জেনে নেই সোজা হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা-
১. পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা কমায়
সোজা হয়ে ঘুমালে তা আপনার মেরুদণ্ডের ওপরে চাপ কমাতে সাহায্য করবে। আমরা কোন পাশে ঘুরে ঘুমালে আমাদের ঘাড় যে কোনো একদিকে কাত হয়ে থাকে দীর্ঘ সময়। ফলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে সহজেই। কিন্তু সোজা হয়ে ঘুমালে ঘাড় সোজা থাকে এবং মেরুদণ্ড সোজাভাবে থাকতে পারে। তাই এভাবে ঘুমালে এটি আপনার পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
২. ফোলাভাব কমায়
কোনো পাশ ঘুরে ঘুমালে মুখে ও চোখের চারপাশে তরল জমা হওয়ার কারণে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনি সোজা হয়ে ঘুমালে মুখে চাপ না পড়ার কারণে আপনার মুখে ও চোখের চারপাশে চাপ পড়ে তরল জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে এটি আপনার মুখের ও চোখের চারপাশের ফোলাভাব হওয়াকে প্রতিরোধ করে।
৩. মাথাব্যথা রোধ করে
সোজাভাবে ঘুমালে এটি মাথাব্যথা রোধ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া মাথাব্যথার কারণে মুখের যেকোনো একপাশ ব্যথা, চোখের কাছে ব্যথা, হাচি-কাশির সময়ে ব্যথা ও ঝাপসা দেখারমতো বিভিন্ন সমস্যাও হতে পারে। আর এসব সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করতে পারে আপনার সোজা হয়ে ঘুমানোর অভ্যাসই।
৪. বলিরেখা প্রতিরোধ করে
সোজা হয়ে ঘুমানোর মাধ্যমে আপনার মুখ বালিশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে না। ফলে আপনার মুখে বলিরেখা ও রেখা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিকভাবে হয়
সোজা হয়ে ঘুমালে আপনার নাক ওপরের দিকে থাকে এবং এতে কোনো ধরনের চাপ পড়ে না। তাই এভাবে ঘুমালে সেটি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসকে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।
৬. ত্বকের জন্য ভালো
সোজা হয়ে ঘুমালে এটি আপনার ত্বকের উপকারেও সহায়তা করে। এভাবে ঘুমালে মুখ সোজা ওপরের দিকে থাকে এবং ত্বকে ভালোভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হতে পারে। ফলে আপনার ত্বকের ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস, লালভাব ও জ্বলাভাব দূর করতে সহায়তা করে।