প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় ফের আন্দোলনে কর্মসূচি শুরু করলেন মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা ও তা নিয়মিত পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। আজ শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় ডক্টর টিভি প্রতিবেদককে এ কথা বলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী।

নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ঢাকার বাইরের প্রতিষ্ঠানের ট্রেইনি চিকিৎসকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। তাদের সবার মূল শ্লোগান- আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই।  

আগামীকাল রোববার (১৬ জুলাই) সারাদেশের সব পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় সমবেত হবেন। পরে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেবেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের লিখিত প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন চিকিৎসকরা। 

পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, গত সোমবার (১০ জুলাই) আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি নিজেদের দাবি জানাতে তাঁর কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ স্যার এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদেরকে পরবর্তী ২/৩ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করানোর আশ্বাস দেন। এরপর রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু ৪ দিনেও আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন।    

প্রসঙ্গত: ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটের বেসরকারি রেসিডেন্ট/ননরেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অধিভুক্ত এফসিপিএস এর পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টররা।

প্রথম দিন তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। রোববার (৯ জুলাই) দ্বিতীয় দিন একইস্থানে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। তৃতীয় দিন সোমবার (১০ জুলাই) দাবি জানাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা।