৮ মাসের ভাতা পাননি নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৮ মাসের ভাতা পাননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে আসা নন-রেসিডেন্ট ডিপ্লোমা, পিএইচডি ও এমপিএইচ এর শিক্ষার্থীরা। গত রমজানের ঈদের আগে ১০ মাসের মধ্যে পেয়েছেন মাত্র ২ মাসের। ঠিকমত প্রাপ্য টাকা না পেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আসা মেধাবী চিকিৎসকেরা।
বিএসএমএমইউ থেকে এমডি/এমএস ডিগ্রি নিতে আসা বেসরকারি রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীরা (চিকিৎসক) আগে থেকেই মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে পারিতোষিক বা ভাতা পেয়ে আসছেন। কিন্তু নন-রেসিডেন্ট ডিপ্লোমা, পিএইচডি ও এমপিএইচ এর শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের ভাতা পেতেন না। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্যও প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার মাসিক ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে এই টাকা পাওয়ার কথা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশিষ্ট বিভাগ। এরপরও গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে মাত্র ২ মাসের ভাতা পেয়েছেন তারা।
জুলাই-২১ সেশনের নন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী ও ভাতার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কারী ডা. রুহুল আমিন তুহিন ডক্টর টিভিকে জানান, এতদিন ধরে ভাতা পাচ্ছি না, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। তারা আমাদের কথা ঠিকমত শুনতেও চান না। মনে হয়, আজ চিকিৎসক বলেই আমরা নিগৃহীত হচ্ছি। অন্য কোন জেনারেল প্রতিষ্ঠান বা গার্মেন্ট বা পরিবহন শ্রমিক হলেও হয়তো এতটা অবমূল্যায়িত হতাম না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী ডক্টর টিভিকে বলেন, মাসিক ভাতার টাকাটা পরিমাণে খুব বেশি নয়। কিন্তু তারপরও আমরা এটা প্রত্যাশা করি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ৮ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। কোর্স চলাকালীন অন্য কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে কাজ করতে পারেন না। টাকা ছাড়া জীবন চলবে কিভাবে? বাবা-মায়ের কাছ থেকে কতদিন টাকা চাওয়া যায়? ডাক্তারদের এই কষ্টের কথা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না। বোঝানোও সম্ভব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোঃ আব্দুস সোবহানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে জানান, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের টাকা অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়েছে।সেগুলো প্রাপকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে সর্বশেষ তথ্যের জন্য বিএসএমএমইউ প্রশাসনের বর্তমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
তবে, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমদ ও বর্তমান পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) গৌর কুমার মিত্র কেউই ফোন রিসিভ করেননি।