বাচ্চাদের শারীরিক, মানসিক চাপ থেকে বাঁচান
কিশোর বয়সী শিক্ষার্থী
বাচ্চাদের শারীরিক, মানসিক চাপ থেকে বাঁচান...
গতকাল চেম্বারে একজন দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে দেখেছি। ওর সমস্যা হলো খাবার রুচি কম, কিছু খেতে ভালো লাগে না। আর কোন সমস্যা নেই।
ওর প্রতিদিনের রুটিন শুনলাম। ওর স্কুল শুরু হয় ১২ টায়, কিন্তু ওকে সাড়ে ৬ টার দিকে বের হতে হয়। কারণ সকাল ৭ টা থেকে ওর প্রাইভেট থাকে। স্কুল শুরু হবার আগ পর্যন্ত ওর প্রাইভেট চলে। স্কুল শেষ হয় ৪ টায়। এরপর আবার প্রাইভেট, প্রাইভেট শেষ করে বাসা যেতে সন্ধ্যা ৭ টা।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম- তাহলে তুমি পড়াশুনা কখন করো? রেস্ট কখন নাও? খেলাধুলা বা রিফ্রেশমেন্ট কখন করো? ছোট ভাইবোনের সাথে সময় কাটাও কিভাবে? উত্তর না দিয়ে ও চুপ চাপ তাকিয়ে ছিল।
বর্তমানে কেউ না চাইলেও বা প্রয়োজন না থাকলেও প্রাইভেট বা কোচিং করতে অনেকটাই বাধ্য, এসবের কারণও অনেক- স্কুলে দায়িত্ব নিয়ে পড়াশোনা করানো হয় না অনেক স্কুলে, ভালো রেজাল্ট এর চাপ, সামাজিক চাপ, শিক্ষকদের পরোক্ষ চাপ এবং ভাবী চাপ (ভাবীদের সামনে বড় মুখ করে গল্প বলার জন্য)।
বাচ্চাগুলোকে দেখলে খুব মায়া লাগে। একটা জিনিসই আমরা ওদের থেকে চাই - পড়াশোনা, পড়াশোনা এবং পড়াশোনা। এ প্লাস পেতেই হবে।
বাবামারা অন্তত বুঝুন, বাচ্চাগুলোকে বাঁচান।
লেখক :
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।