ভারতীয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তসলিমার অভিযোগ বিশ্লেষণ
ভারতীয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তসলিমার অভিযোগ প্রসঙ্গে লিখেছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা.আবদুন নূর তুষার
তসলিমা নাসরিন একজন চিকিৎসক। লেখক।
তার মাকে ভুল চিকিৎসা করে ডাক্তাররা সব দাঁত তুলে ফেলেছিলো সুইডেনে এই অভিযোগ তিনি তার লেখায় করেছিলেন। তখনো তিনি চাইলেই এই বিষয়টি ঠেকাতে পারতেন যদি বিষয়টা নিয়ে পড়তেন; অনুসন্ধান করতেন অথবা তার পরিচিত কোন ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করতেন। কেন করেন নাই কে জানে?
তার মায়ের সিভিয়ার পায়োজেনিক গাম ইনফেকশন ছিলো। তবে তসলিমা লিখেছেন এটা অন্যভাবেও চিকিৎসা করা যেতো। তবে সবই লিখেছেন ও বুঝেছেন সবগুলো দাঁত তুলে ফেলার পর।
এবার তিনি নিজে ভুল বা ইচ্ছাকৃত অতিচিকিৎসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ভারতে। তিনি পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে ডাক্তার দেখাতে গেলে তাকে ডাক্তার ফীমার ফ্র্যাকচার হয়েছে এই কথা বলে হিপ রিপ্লেস করে দিয়েছেন।
এখন তিনি বলছেন এটা দরকার ছিলো না। তিনি নাকি নিজের এক্সরে টাও সার্জারির আগে দেখেন নাই। এখন দেখে বুঝতে পেরেছেন তার কোনো রকম সার্জারির দরকার ছিলো না।
এবারো তষ্কর য পলায়তি। বুদ্ধি ত আগমতি।
১. তিনি কি সার্জারির আগে অনুমতিপত্র বা কনসেন্ট ফর্মে সই করেন নাই? কি দেখে করলেন?
২. হিপ কি হাসপাতালে মজুদ থাকে। টাকা ছাড়াই আগে লাগিয়ে দেয় আর পরে টাকা নেয়? মোটেও না। হিপ কিনে এনে দিতে হয়। টাকা আগে না দিলে এটা প্যাকেট থেকে বেরই করবে না। উনি তাহলে না জেনেই ও অনিচ্ছাকৃতভাবে টাকা দিলেন?
৩. ফেসবুকের পাশাপাশি উনি আইনী লড়াই কেন করছেন না?
৪. একজন ডাক্তার কি করে নিজের বিষয়ে একটা এক্স রে পর্যন্ত না দেখে একটা সার্জারি করতে দেন?
৫. লিখেছে বাংলাদেশের রোগী। একথা বলে তিনি কি বোঝালেন যে ভারতীয় ডাক্তাররা বাংলাদেশের রোগীদের এভাবেই চোষে ও ভুলভাল কাজ করে অতিরিক্ত বিল নেয়?
নাকি উনি নিজেই বাংলাদেশের বহু বুদ্ধু রোগীর মতো ভারতের ডাক্তারদের ওপর অন্ধবিশ্বাসে; কিছূ না দেখেই সার্জারিতে রাজী হয়ে গেলেন?
৬. এই ঘটনার তদন্ত করে হাসপাতালের ও ডাক্তারের দোষ থাকলে সেটার বিচার দরকার।
সমস্যা হলো তসলিমা হাসপাতাল ও ডাক্তার কারো নাম বলেন নাই। অন্য সকল ক্ষেত্রে তিনি নাম বলে দিলেও এখানে নাম না বলার কারণ কি?
এই ডাক্তারকে আমাদের দূতাবাসের লোকজন দিয়ে খুঁজে বের করে দেখা উচিত; তসলিমার প্রতি এই আচরনের কারণ কি?
তবে হিপ রিপ্লেস করলে কেউ পংগু হয় না। এটা একটি ভুল তথ্য দিয়েছেন তসলিমা।