সংক্রমণ বাড়লে কী করব, কতজন জানি
সংক্রমণ বাড়লে কী করব, কতজন জানি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন ৬ শতাংশের মতো হয়, তখন প্রথম প্রাসঙ্গিক আলাপ কি হওয়া উচিত? মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যেসব জায়গায় জনসমাগম হয়, তা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।
এখন এই তিনটি প্রশ্নে আমরা কি করেছি? আমরা কিছুই করিনি। ধরে নেই, করোনার সংক্রমণ ৮ শতাংশ অতিক্রম করল, তখন আমরা কি করব? আমি জানি না। এভাবে ১০, ১৫ কিংবা ২৫ শতাংশ অতিক্রম করবে, তখনো আমরা জানি না, কি করব।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাইন হচ্ছে চূড়ান্ত পদক্ষেপ। সংক্রমণ ঠেকানোর সব উপায় ও পদক্ষেপ যখন অকার্যকর হয়ে যায়, তখনই তো লকডাউন। এখন শেষ কথাটা আমি আগে উচ্চারণ করে কেন মানুষকে ভয় দেখাব? এখন যে কাজ সেটি আমি বলছি, এখন যারা ঘর থেকে বাইরে আসবে, প্রত্যেকের মাস্ক পরতে হবে। তাহলে যেসব মানুষের মাস্ক কেনার সামর্থ নেই, তাদের মাস্ক সরবরাহ করতে হবে। আগে যেটা বলেছি, জনসাধারণকে যুক্ত করে ঘরে ঘরে তদারকি করতে হবে। যার কেনার সামর্থ নেই, তার কাছে মাস্ক পৌঁছে দেই। তারপরও যদি তারা বাইরে আসেন, আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ কাজটা কি আমরা করতে পেরেছি? পারিনি।
বরং আমরা উল্টা কাজ করে ফেলছি। শুরুতেই যখন সংক্রমণ কম থাকে, তখন লকডাউন দিচ্ছি। লকডাউনে থাকতে থাকতে মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে বের হচ্ছেন। তখন আবার দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণে উল্লম্ফন।
আমরা জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বলে থাকি, লকডাউন হলো একটি পাহাড়ের চূড়ায় উঠার মতো। কাজটি আপনাকে ধাপে ধাপে করতে হবে এবং নামার সময়ও ধাপে ধাপে নামতে হবে। কিন্তু লকডাউন দেওয়ার আগে যে ধাপগুলো বাস্তবায়ন, সেগুলো তো ঠিকমতো চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করছি না। না করার কারণেই কিন্তু আমাদের ভোগান্তিটা বেড়ে যাচ্ছে। আর এসব কারণেই বলতে হয়, আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে পিছিয়ে আছি, নেপাল থেকে পিছিয়ে আছি, এমনকি পাকিস্তান থেকেও।