কমিউনিটি পর্যায়ে এখনো টিকা না দিতে পারার কারণ

ডা লেলিন চৌধুরি
2022-01-19 10:59:18
কমিউনিটি পর্যায়ে এখনো টিকা না দিতে পারার কারণ

কমিউনিটি পর্যায়ে এখনো টিকা না দিতে পারার কারণ

বাংলাদেশে (আমার ব্যক্তিগত ধারণা) করোনার অবস্থা মিলিয়ে টিকাদান কর্মসূচির যে ব্যবস্থাটা নেওয়া দরকার সেটি নেওয়া হয়নি। যেমন- প্রায় সোয়া ৬ কোটি মানুষ টিকার নিবন্ধন করেনি। কেন করেননি? এই কারণ অনুসন্ধানের জন্য কিন্তু নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে কোনো অনুসন্ধানী কার্যক্রম চালানো হয়নি।

এই নিবন্ধন না করার কারণ হচ্ছে- বিপুল সংখ্যক মানুষের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নেই, যদি নিবন্ধনের জন্য সেটি দরকার হয়। অনেকের সেই ধরনের মোবাইল রয়েছে, কিন্তু ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যে নিবন্ধন করবে এটি তারা করতে পারেন না।

অর্থাৎ টেকনোলজিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপ বা আমরা বলবো প্রযুক্তি নিরক্ষর এই মানুষগুলো। তো এই যে মানুষগুলো এদেরকে আমরা নিবন্ধন করার জন্য কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেছি কি? করিনি।

এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কিন্তু দুটো জায়গায় বাস করে। একটি হচ্ছে- প্রান্তিক অঞ্চলে। আরেকটি হচ্ছে- কোনো সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চল, যেমন- বস্তি। তাহলে আমাদের তো সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে এই উদ্যোগ নিতে হবে। না নিলে তো আমার যারা নিবন্ধন করেছি, সাত কোটি ৬০ লাখের মতো মানুষ, তাদের দিয়েই তো আমরা শেষ করবো।

দ্বিতীয়ত আমরা প্রতিদিন ৭০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দিতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে একটি প্রমাণিত হয়েছে। আচ্ছা তাহলে আমাদের টিকার সরবরাহ রয়েছে, প্রাপ্তি রয়েছে তাহলে আমরা এটা দিচ্ছি না কেন? দিচ্ছি না কারণ আমাদের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।

আমরা পরিকল্পনাটা কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া, পরিবেশ, মানুষজন, মানুষের বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে করবো। এটা না করে যখন আমাদের কর্তাব্যক্তিরা পরিকল্পনাটা করে তাদের মত করে, লোকজনকে বললেই তারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবে টিকা নেবে, বাস্তব কিন্তু সেটা হয়নি এখনো।

ফলেই এখনই দ্রুত বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করুক না করুক, প্রত্যেকটা মানুষের কাছে গিয়ে তাকে টিকা দিতে হবে। তার তথ্যগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করবে। তা না হলে কিন্তু আমরা একটা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবো।


আরও দেখুন: