চিকিৎসা পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে
চিকিৎসা পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে
বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন। স্বাস্থ্যের সব খাতে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত নারীরা পৌঁছাতে পারছে। শুধু গাইনি কিংবা অবসে নারীরা পড়ালেখা করছে না। সব বিভাগে ছেলেদের পাশাপাশি তারা পড়ছে।
আমাদের দেশের নারীরা একটু রক্ষণশীল বলে তারা নারী চিকিৎসকের কাছে আসতে পছন্দ করেন। তারপরও আমাদের দেশে অনেক পুরুষ গাইনি চিকিৎসক শীর্ষ পর্যায়ে সুনামের সাথে কাজ করছেন।
আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ হলো, চিকিৎসা পেশাতে নারীর কাজের স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসা পেশাতে নারীরা আসতেও পছন্দ করছে। এখন মা-বাবাও চান, তার মেয়ে সেবার পাশাপাশি সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক। আর এটি চিকিৎসা পেশায় সম্ভব হচ্ছে।
আগে মনে করা হতো শিক্ষকতা মেয়েদের জন্য সবচেয়ে ভালো পেশা। কিন্তু এখন আমাদের মেয়েরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে প্রমাণ করছে, তারা ছেলেদের সাথে সমান দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও আমাদের মেয়েরা সুনামের সাথে কাজ করছে। আমাদের মেয়েরা সেনাবাহিনীতে চাকরি করছে। বিমান চালাচ্ছে, পাহাড়ে উঠছে। আমাদের মেয়েরা পিছিয়ে নেই। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
কাজেই এ জায়গাগুলোতে আমাদের সমতায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। আর এজন্য পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারই হবে শিশুর প্রথম শিক্ষালয়। পরিবার থেকেই ছেলেটি শেখে, তাকে কি করতে হবে? মেয়েটিকেও জানিয়ে দেওয়া হয় তুমি কী করতে পারবে।
ছেলে-মেয়ে দুজনকেই বোঝাতে হবে, ছেলে হয়েছ মানেই তুমি সব দিকে স্বাধীন নও। আবার তুমি মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছ মানেই বন্দিত্বের বেড়াজালে নেই। বাবা মাকে নির্যাতন করলে পরিবারের ছেলেটি কিন্তু শিখে ফেলছে সেই পরিবারের কর্তা। মেয়েটির ভাবনাতেও আসে আমার মা এভাবেই নির্যাতন সহ্য করেছেন। আমাকেও ভবিষ্যতে এমন হতে হবে। ফলে পরিবারকে এসব বিষয়ে খুব যত্নবান হতে হবে। নারীর প্রতি সম্মানবোধের জায়গাটা পরিবার থেকেই সন্তানকে দিতে হবে।
আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা সত্যিই বাড়ানো উচিত। নার্সের সংখ্যা অনেক কম। চিকিৎসক যাইবা আছে, সরাসরি রোগীদের সেবা দেওয়া নার্স অনেক কম। আশার বিষয় হলো, স্বাস্থ্য বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মেগা প্রকল্প নিয়েছেন। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে বিরাট পদক্ষেপ রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী মানেই কিন্তু শুধু ডাক্তার-নার্স নয়। এর সাথে টেকনোলজিস্ট রয়েছে, সার্পোটিং স্টাফ রয়েছে। সবগুলো মিলেই পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মধ্যে আসতে হবে।
করোনা মহামারীতে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি আমাদের সব সময় গাইড করেছেন। কি কি করতে হবে এবং কি কি করতে হবে না, তা নির্দেশনা মতো আমরা সবাই কাজ করেছি।