একজন ডোনার ও ঢামেক আইসিইউ সম্প্রসারণ
আমাদের কাছে একজন এসে বললেন, আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু ডোনেশন করতে চাই
আমাদের যে আইসিইউ সেবা ছিল, মার্চের একটি অগ্নি দুর্ঘটনায় সে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে একটি আইসিইউ সেবা চালু করতে সক্ষম হই। মন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল, যেটা চলে গেছে, তা অতি দ্রুত আবার করতে হবে। এজন্য যারা এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট, তাদের ধন্যবাদ জানাই।
জুনে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের আইসিইউ বেডের সেবার যে ১৪টির কথা ছিল, তার মধ্যে ১৩ শয্যার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউ সাপোর্টটাকে আমরা সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা হিসেবে করেছি। অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
দেশের এ ক্লান্তিকালে যখন মানুষজন পাওয়া যায় না। তখন মাত্র তিন মাসেই আইসিইউ সেবাটা চালু করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ আইসিইউতে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি দরকার হয়েছে। সেটা আমরা কোথায় পাব তা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। এর মধ্যে আমাদের কাছে একজন এসে বললেন, আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু ডোনেশন করতে চাই। তখন আমি তাকে বললাম আমাদের আইসিইউ সেবা নেই। সেখানে কিছু করলে খুবই উপকার হয়। বর্তমান সময়ে আইসিইউর যন্ত্রাংশ যদি প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে চাহিদা জানানোর পরে কারখানাগুলো সেগুলো তৈরি করে। এটা অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয়।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেসব যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ২৪ ঘণ্টাই চলে। যেসব যন্ত্রপাতি পৃথিবীর মাত্র তিন চারটা কোম্পানি তৈরি করে। সেই বন্ধু (ডোনার) মানুষটি সেসব কোম্পানিগুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। বিদেশ থেকে অর্ডার দিয়ে তিনি ব্যবস্থা করেছেন। তিনি অর্থ দিয়েছেন, পরিশ্রম করেছেন।
আজ আমরা সফলতার প্রান্তে এসেছি। আমাদের একটা এক্সটেনশন ওপিডি করা হয়েছে। কারণ এখানে হাজার হাজার লোক আসে সেবা নিতে। ইউপিডিতে আমরা ভ্যাকসিন সেন্টার স্থানান্তর করতে চাই। একসাথে আমাদের যে ভ্যাকসিন পদ্ধতি রয়েছে, সেখানে আমরা কিছু কোভিড রোগীদের রাখতে পারব। আমাদের যদি কভিড সংক্রমণ অনেক বাড়ে। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ট্রান্সজেন্ডার বুথ করেছি, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেবা নিতে পারে।