করোনা আক্রান্ত রোগীদের নানা ধরণের জটিলতা
ফাইল ছবি
দেশের করোনাভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। টিকা গ্রহণ, পরিষ্কার মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিশেষ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা সেরে উঠেছেন তাদের ফলোআপ চিকিৎসার আওতায় থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু রয়েছে। সেখানে তারা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।
আর ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে লকডাউনের পাশাপাশি যারা ভারত থেকে আসছে তাদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের নানা ধরণের জটিলতা দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এমন রোগীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের জটিলতাও বেশি দেখা যাচ্ছে। কারো স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়, কখনও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, দুই একজনের হলেও বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণও পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সেরে উঠছেন তাদের শরীরে নানা জটিলতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতা, পালমোনারি এম্বলিজম, শরীর বা স্বাস্থ্য ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে মানসিক অবসাদ, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ডায়রিয়া, তীব্র মাত্রার মানসিক সমস্যা, ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা, হার্ট এ্যাটাকসহ হৃদরোগ জনিত সমস্যা, কিডনি ফেলিউর, ব্রেন স্ট্রোকজনিত নানা জটিলতা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ বিভিন্ন ধরণের ফাঙ্গাসের সংক্রমণজনিত জটিলতা ইত্যাদি। এছাড়া বিশ্বব্যাপী অনেক অজানা জটিলতাসমূহও ধরা পড়ছে। এ অবস্থায় রোগীদের জীবন বাঁচাতে দ্রুততার সাথে যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।