ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ ও কারণ
স্টেরয়েডের অতিরিক্ত প্রয়োগের কারণে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই নতুন উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ভারত এবং আমেরিকায় এই রোগ ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মিউকোরাল ফ্যামিলির ফাঙ্গাস। এর সংক্রমণ হলে নাকের ওপরে বা চোখের পাতায় কালো দাগ দেখা যায়। সংক্রমণের পর কালো রঙ ধারণ করে বলে এটাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলা হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ সম্পর্কে দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, কোভিড-১৯ জনিত জ্বরের মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরেও জ্বর ভালো না হলে প্রাথমিক লক্ষণ মনে করতে হবে।
ভারতের অল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে তীব্র কোভিড আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর স্টেরয়েড দেওয়ার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত তার চোখের নড়াচড়া কেমন হচ্ছে। চোখের উপরে-নিচে চাপ দিয়ে দেখতে হবে রোগী ব্যাথা পাচ্ছে কি না। মুখের তালুর রঙ লাল বা কালো হয়ে যাচ্ছে কি না।
রোগীর নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া নাক দিয়ে গাড়ো কালো সর্দি অথবা রক্ত বের হতে পারে। চোখ ফুলে উঠেতে পারে। রোগীর ফুসফুসে অস্বাভাবিক দাগ পাওয়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও রোগীর আচরণে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ব্লাক ফাঙ্গাসের প্রধান কারণ। এছাড়া স্টেরয়েডের অতিরিক্ত প্রয়োগে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
শ্রুতিলিখন: হাসান মাহমুদ