স্ট্রোকের চিকিৎসায় প্রয়োজন জনসচেতনতা
প্রতীকী ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিশ্বে প্রতি বছর দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে থেকে ৫০ লাখ মানুষ মারা যান। যে এক কোটি মানুষ বেঁচে থাকেন তাদের মধ্যে থেকে ডিজেবল,প্যারালাইসিস রোগী হয়ে বাকি জীবন পার করেন। একজন লোক ডিজেবল (পঙ্গু) থাকেন তা তার জন্য যেমন সমস্যা, পরিবার জন্যও সমস্যা, সমাজের জন্যও সমস্যা, দেশের জন্যও সমস্যা, অর্থনীতি দিক থেকেও সমস্যা।
তাই নিজের জীবনটা এমনভাবে ধারণ করবেন যেন এই ধরনের রোগ না হয়।
স্ট্রোক হলে কি অপারেশন লাগবেই? এটি কি সার্জিক্যাল ডিজিজ নাকি মেডিকেল ডিজিজ? এর চিকিৎসা কীভাবে হয় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল রয়েছে।
স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও অনেক ক্ষেত্রে সার্জারি বা অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। আবার অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
অনেক সময় দেখা যায়, রোগীর দেরিতে আসে। অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হয়েছে। যেগুলো সার্জারি করা সম্ভব না। মৃত্যু থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে। স্ট্রোক করার দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের কাছে আসলে রোগীর জন্য ভালো কিছু আশা করা যায়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগী আক্রান্ত হওয়ার পর একটা হাসপাতালে যাচ্ছেন সেখান থেকে একটা ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে যাচ্ছেন।
এক্ষেত্রে আমার প্রথমত কথাটি হলো আমাদের জ্ঞানের অভাব ও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সেটা যেমন সাধারণ মানুষের মাঝে আছে, তেমনি স্বাস্থ্যকর্মীদেরও দায়বদ্ধতা আছে। স্ট্রোকের গোল্ডেন আওয়ার আছে। ব্রেনের ক্ষেত্রে গোল্ডেন টাইম আছে। যদি তিন ঘন্টার মধ্যে রোগী যথাযথ হাসপাতালে আসে তাহলে উন্নতি করা সম্ভব আছে।
যেসব হাসপাতালে স্ট্রোকের ইমার্জেন্সি নিউরোসার্জন টিম আছে সেখানে রোগী দ্রুত পৌঁছালে ভালো হবে।
স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে সব ধরনের মেশিন থাকতে হবে যেমন, সিটি স্ক্যান, এনজিওগ্রাম ইত্যাদি।
কিন্তু এক্ষেত্রে জনসচেনতার ঘাটতি আছে। অনেক সময় দেখা যায় নিউরোসার্জন ডাক্তার থাকতে রোগীকে মেডিসেন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিউরোসার্জনের হাতে তুলে দিলে অনেক ভালো হয়।