স্বপ্ন না দেখলে কিন্তু বাস্তবায়ন করা যায় না
আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এটা বাস্তবায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। প্রায় ৪৫ বছর আগে তিনি সে কথা বলে গেছেন। এ বিষয়ে ডক্টর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রধান চিকিৎসক, দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ তুলে ধরেছেন তার নানা ভাবনার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. তানিয়া রহমান মিতুল
ডক্টর টিভি: কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার কারণ কী?
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: যেহেতু বঙ্গবন্ধু তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন। একাবারে পাড়া গাঁ থেকে উঠে এসেছেন। তিনি মানুষের অবস্থা জানতেন। তার চিন্তাধারার মধ্যে ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, খেটে খাওয়া মানুষ। গরিব মানুষ তারা তো খুব অবহেলিত ছিল, স্বাস্থ্যসেবা তো তারা পাচ্ছিল না।
বঙ্গবন্ধু দেখেন কত বছর আগেচিন্তা করেছেন কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে, থানা পর্যায়ে, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো যায়, সেই চিন্তাধারায় কিন্তু তিনি পর্যায়ক্রমে আগাচ্ছিলেন।
যেটাকে আমরা বলছি স্বপ্ন। কারণ, স্বপ্ন না দেখলে কিন্তু বাস্তবায়ন করা যায় না সুতরাং স্বপ্ন আগে দেখতেই হবে।যদি চিন্তাই না করে যদি স্বপ্ন না দেখি তাহলে মানুষ কাজ করবে কেমনে।ও নিজের চিন্তাটা করে গেছেন এরপর এসে চিন্তাটা কেউ করেন নাই।এইযে অনার্য সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনি কিন্তু সে চেষ্টা করছেন। বর্তমানে এইযে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিন্তু অনেক বিশাল একটা সুযোগ পেয়েছেন এখানে কিন্তু আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক থাকেন মাতৃস্বাস্থ্য, এরপরে যেকোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন, এটা কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হয়েছে।ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও তো কখনো চিন্তা করি নাই এক গ্রামে গঞ্জে এভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক করা সম্ভব হবে।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কিন্তু এখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
করোনা এসে আমাদের সব কিছু একটা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই তবে এটাও সত্য,আমি একটা কথা বারবার বলি করণা যে শুধু আমাদের বারবার বিপদগ্রস্ত বা ধ্বংস করেছে সেটা কিন্তু নাসাথে সাথে আমাদের কিছু একটা অপরচুনিটি (সম্ভাবনা) এনে দিয়েছে আমরা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কিভাবে ভবিষ্যতে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে পারি,কিভাবে
জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া যায় এই শিক্ষা কিন্তু আমরা অলরেডি নিয়ে ফেলছি।
আমার কথায় এখন একটাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে হয়ে গেছে আরো অনেকটাই বাস্তবায়িত হবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি সুস্থ থাকুক, তৃণমূলের দিন বেঁচে থাকুক, তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হোক এই কামনাই করি।
ডক্টর টিভি: স্বাস্থ্যসেবায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: এখন যেটা দরকার সেটা হল সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সহায়তা করা। আমরা যারা আছি আমাদের সহযোগিতা যদি আমরা না করি তাহলে উনার একার পক্ষে কখনো এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। সেজন্য আমাদের ওপর বিশাল দায়িত্ব রয়ে গেছে। আমরা যারা শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত আমাদের স্বাস্থ্য সেবা খাতের মধ্যে যে সমস্যাগুলো রয়ে গেছে জনবলের অভাব বলেন, অভিজ্ঞতার অভাব বলেন, দুর্নীতি বলেন, এসব কিছুকে পেছনে ফেলে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসব কিছু থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আমরা যদি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথামতো চলি, পরিকল্পনা মত কাজ করি তাহলে সারা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবাই স্বাস্থ্যসেবা ঠিকভাবে পাবে। আমরা যে যেখানে আছে আমাদের
কার্যক্রমগুলো যেন আমরা সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারি।আমি মনে করি আমার সামনে যারা আছেন বিজ্ঞ যারা আছেন এরা আমার সাথে একমত হবেন।
ডক্টর টিভি: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: ডক্টর টিভির সকল দর্শক শ্রোতা ও দেশবাসীর সবাইকে ধন্যবাদ।