সম্প্রতি ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকসহ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তবে অধিকাংশ সংক্রমণ মৃদু এবং ঘরোয়া আইসোলেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এরই প্রেক্ষিতে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব পুন্য সলিলা শ্রীবাস্তব শনিবার (২৪ মে) এক পর্যালোচনা সভা করেন। সূত্রঃ সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ভারতজুড়ে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসেবে সমন্বিত রোগ প্রতিরোধ প্রকল্প আইডিএসপি ও আইসিএমআর-এর সেন্টিনেল কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। নজরদারি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশজুড়ে শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণ, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ভারতে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট: আইএনএসএসওজ-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এনবি.১.৮.১ নামক একটি নতুন উদীয়মান ভ্যারিয়েন্ট এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ুতে এবং এলএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের চারটি সংক্রমণ মে মাসে গুজরাটে শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ বর্তমানে 'ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং' তালিকায় রয়েছে, তবে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বা ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চীন ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে এই ভ্যারিয়েন্টগুলোর নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, গত ১৯ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২৫৭ জন, যাদের প্রায় সবাই মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বার্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সকল নাগরিককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় শয্যা ও অক্সিজেন সরবরাহের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এমন খবর বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ও সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন