Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


চিকিৎসা ও জনকল্যাণে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলামের অবদান চির স্মরণীয় থাকবে

Main Image

বিএসএমএমইউর প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত


বিএসএমএমইউর প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এতে বক্তারা বলেন, বিরল মানবিক গুণের অধিকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলামের চিকিৎসাবিজ্ঞান বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় এবং জনকল্যাণে বিশেষ করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলামের চিন্তা, জানা, বুঝার ক্ষেত্রে ছিলেন সাধারণের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সবার জন্য তার দুয়ার খোলা ছিল। শিক্ষক হিসেবে তিনি বায়োস্ট্যাটিসটিক্স এর অনেক জটিল বিষয় অসামান্য দক্ষতার সাথে অত্যন্ত সহজ করে উপস্থাপন করতে পারতেন। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে সেটাই হবে অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলামের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।

 

বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম যা বিশ্বাস করতেন, কর্মেও তার প্রতিফলন করে গেছেন। আমি নিজেও তাঁর কাছ থেকে শিখেছি। বিএসএমএমইউর প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা তাঁর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তাঁর সহযোগিতায় আমি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সম্পন্ন করতে পেরেছি। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জনকল্যাণে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন এর পুণ্য হিসেবে মহান আল্লাহতায়ালা তাকে নিশ্চয়ই জান্নাতবাসী করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

অন্য বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ছিলেন সাদা মনের সুন্দর মানুষ। তিনি ছিলেন অমায়িক, নির অহংকার, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। ছিলেন শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষক, ব্যতিক্রমধর্মী ও দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ। তিনি চ্যারিটি ধরণের কাজ করতে পছন্দ করতেন। তিনি বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতির বিভিন্ন ধরণের গাছ রোপণ করে গিয়েছেন। ফলের গাছ তিনি ভীষণ পছন্দ করতেন, কারণ এসব গাছ থেকে পাখি ও মানুষ যাতে করে ফল খেতে পারেন। তিনি নিজের লাভের জন্য কিছুই করে যাননি। তিনি ছিলেন একজন নিঃস্বার্থপর মানুষ। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ করে গবেষণা ও থিসিসের উন্নয়নে তাঁর অভাব পূরণ হওয়ার নয়। তিনি মানুষের সমালোচনার কথা চিন্তাও করতেন না। প্রভাব ও প্রতাপ এ ধরণের  কোনো ভাবভঙ্গি তাঁর জীবনে ছিল না। মৃত্যুর সময়ও তিনি শুধু শান্তিতে চলে যেতে চেয়েছেন, এছাড়া অন্য কিছুই তাঁর চাওয়ার ছিল না।

 

পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরীফুল ইসলামের বড় ভাই অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুস সালাম, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতাল) ডা. মো. শাহিদুল হাসান সহ পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউর প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন। তিনি বিএসএমএমইউ ছাড়াও ইংল্যান্ডের একটি ইউনিভাসির্টিতে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। তাঁকে ময়মনসিংহ শহরে পারিবারিক নিজস্ব কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন