Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ঢাকা মেডিকেলে ম্যাটসের প্রশিক্ষণ বন্ধ

Main Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল


ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ম্যাটসের সব ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এক অফিস নোটিশে এই নির্দেশনা দেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। 

 

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে MATS এর ছাত্র-ছাত্রীদের সকল প্রকার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’’

 

এরআগে, গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের প্রশিক্ষণ বন্ধে আল্টিমেটাম দেন মেডিকেলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

 ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সারাদেশ থেকে ভর্তির জন্য রেফার্ড হয়ে আসা অসংখ্য রোগী প্রতিদিন ঢামেকহায় ভর্তি হন। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়াই এই রোগীদের চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট কাজে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রশিক্ষণার্থীদের হস্তক্ষেপ যে কোন রোগীর জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তারা রোগীদের চিকিৎসা করার চেষ্টা করছেন। যা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই কাম্য নয়।

 

মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ঢামেকহায় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের প্রশিক্ষণের জন্য কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। এই ধরনের কার্যক্রম উক্ত হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। সাধারণ রোগীদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে- যা পরবর্তীদের যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সূত্রপাতে ভূমিকা রাখতে পারে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা ঢামেকহা প্রশাসন ও পরিচালককে কঠোরভাবে জানাচ্ছি, ঢামেক হাসপাতালে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের সমস্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে তারা। রোগীর নিরাপত্তা ও হাসপাতালের সুনাম রক্ষার জন্য এই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।  

আরও পড়ুন