সোমবার (২০ জনুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ জনুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেইসাথে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যেকের মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চান্সপ্রাপ্ত ১৯৩ জনের সকল ভর্তি কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। ৫% কোটা শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে নয়। তবে উপযুক্ত ডকুমেন্টস প্রমাণ সাপেক্ষে ৫% কোটায় চান্সপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। পরবর্তীতে শুন্য আসন মেধার ভিত্তিতে পূরন করা হবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রুবিনা ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের সনদ যাচাই বাছাই করে অনলাইনে আপডেট করতে বলা হয়েছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। সেজন্য কমিটি করা হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কি না তা যাচাই করা হবে। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই না।
এর আগে রোববার ( ১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে কোটায় নির্বাচিত হয়েছে ১৯৩ জন।
কম নম্বর পেয়েও মেডিকেল ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন। এছাড়াও, আজ সোমবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন