Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত

Main Image

নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত লিখেছেন ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন


নিউমোনিয়াঃ ফুসফুসের প্রদাহের সাথে যখন Radiological Findings পাওয়া যায়, তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে।


♦️ নিউমোনিয়ার কারণঃ

কিছু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক যেমন..

- Group B streptococcus 

- Escherichia coli

- Streptococcus pneumoniae 

- Haemophylus influenzae

- Legionella pneumophila

- Respiratory syncytial virus

- Rhinovirus

- Influenza & Parainfluenza virus

- Aspergillus


♦️ নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে যারাঃ

- অতিরিক্ত অপুষ্টি।

- কম বয়সী শিশু।

- যাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্মগত রোগ আছে।

- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

- ঘনবসতি, দূষিত বায়ুতে বসবাসকারীরা।


♦️ নিউমোনিয়ার লক্ষণঃ

-জ্বর। 

-কাশি। 

-শ্বাসকষ্ট।

-বুকে ব্যাথা।

-সারা শরীরে ব্যথা।

-খাবারের অরুচি।

-ক্লান্তি।


♦️ নিউমোনিয়ার স্থায়ীত্বকালঃ 

সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেড়ে উঠতে বেশি সময় লাগে..

- বয়স্ক মানুষদের। 

- যাদের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস বা কিডনির অসুখ আছে।

- যাদের ডায়াবেটিস আছে।

- যারা ঔষধের ডোজ পূর্ণ করে না।

- ক্যান্সার, HIV আক্রান্ত রোগীদের।


♦️ নিউমোনিয়া সনাক্তকরণের পরীক্ষাঃ

- CBC

- CRP

- Blood Culture

- Chest X-ray

- Sputum for gram stain, AFB & Culture

- Pleural fluid aspiration & study

- USG & CT scan of chest


♦️ নিউমোনিয়ার চিকিৎসাঃ

- এন্টিবায়োটিক।

- কাশির ঔষধ। 

- জ্বরের ঔষধ।

- ব্যাথানাশক।

- রোগী খেতে না পারলে শিরার মাধ্যমে স্যালাইন অথবা নাকের নল দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

- অক্সিজেন দিতে হতে পারে।


♦️ নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়ঃ 

- ধোঁয়া ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলা। 

- পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। 

- ধুমপান বন্ধ করা। 

- শিশুদের ফ্লু ভ্যাক্সিন দেওয়া।


♦️ নিউমোনিয়া রোগীদের যেসব খাবার বেশি দেবেনঃ

-সহজপাচ্য খাবার।

-গরম দুধ। 

- তাজা ফলের রস।

- ডাল।

- লেবু।

- সবুজ শাকসবজি।

- গরম স্যুপ 


♦️ নিউমোনিয়ায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবেঃ

- ঠাণ্ডা পানি। 

- ঠাণ্ডা খাবার। 

- খাবারে অতিরিক্ত লবন।


♦️ শিশুদের জন্য বাড়তি কিছু পরামর্শঃ 

- ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াবেন। 

- নিউমোনিয়া ধরা পড়লে স্যুপ জাতীয় পানীয়, বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন। 

- হট কম্প্রেস করবেন।

- লবণ যুক্ত গরম পানির ভেপার দেবেন।

- কোনোরকম জটিলতা দেখলে কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 

লেখকঃ


ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন
শিশু বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

আরও পড়ুন