Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে যা মানতে হবে

Main Image

ঢাকায় হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। হিটওয়েভের কারণে বাড়ছে স্ট্রোকেসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি


বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর যৌথভাবে ২০২১ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকায় হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আর হিটওয়েভের কারণে বাড়ছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়াসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বয়স্ক মানুষ, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত, তারা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন তাপপ্রবাহের সময়। সরাসরি সূর্যের নিচে যাদের কাজ করতে হয়, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।

তীব্র তাপদাহের সময়ে সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

> প্রবল রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত রোদে বের হলে ত্বক লাল হয়ে যায়। সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পারে। ত্বক পুড়ে গেলে আক্রান্ত জায়গাটিতে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কিছু না লাগানোই ভালো। এ সময়ে ত্বক বাঁচাতে চড়া রোদে না থাকা, ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় ত্বকের ওপর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে ত্বকের অনেকটা অংশ জুড়ে র‌্যাশ বেরোতে পারে। একে ‘হিট র‌্যাশ’ বলা হয়। এ ধরনের র‍্যাশ এড়াতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

> মাত্রাতিরিক্ত গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত পানি ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি হলে পেশিতে টান পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সমস্যাকে ‘হিট ক্র্যাম্পস’ বলা হয়। এ সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন খেতে হবে।

> প্রচণ্ড গরমে ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে।  এ সময়ে ‘হিট স্ট্রোক’- এ আক্রান্ত হলে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। তাই ঘাম হয় না। কিন্তু হিট স্ট্রোক হলে তা থেকে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে প্রভাব পড়তে পারে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। ঘাম না হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তার আগে রোগীকে বারবার ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দেওয়া ভালো।

> এ গরমে সুস্থ থাকতে তেল-মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত আমিষ খাবার কম খাওয়াই ভালো। বরং তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এমন খাবার খান। একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে অল্প মাত্রায় বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

> গরমের সময় হালকা সুতির পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতা়ড়ি শুকিয়ে যায়। পা ঢাকা জুতার বদলে খোলা স্যান্ডেল ব্যবহার পরুন। ব্যাগে সানগ্লাস, স্কার্ফ, পানির বোতল, ছাতা রাখতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন