Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


আদর্শ ইফতার কিভাবে তৈরি করবেন

Main Image

ইফতারে দই, চিড়া, কলার মতো খাবার রাখলে পুষ্টি উপাদান পূরণ হবে


আমাদের দেশে ইফতারে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ তেলে ভাজা খাবার। সারা দিন উপবাস শেষে এগুলো খাওয়ার ফলে আমরা জেনে না জেনে শরীরের ক্ষতি করছি। অথচ চাইলেই স্বল্পখরচ এবং কম পরিমাণ খাবারের মাধ্যমে আদর্শ ইফতার করা সম্ভব।

এবার রোজা হচ্ছে গ্রীষ্মে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নানা শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সীরা রোজা রাখবেন। এদের অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত। ফলে সবকিছু মাথায় রেখে ইফতারের খাদ্যসামগ্রী বাছাই করতে হবে।

কিন্তু সমস্যা হলো ভাজা-পোড়া দিয়ে শুরু করে অন্যান্য খাবার গ্রহণ বাঙালির ইফতারের প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকার পর তাতে তৈলাক্ত খাবার যাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তৈলাক্ত এসব খাবারের বেশিরভাগ বাইরে থেকে কেনা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একাধিকবার ব্যবহৃত তেল দিয়ে এসব বানানো হয়েছে। এগুলো খেলে রোজায় ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।

আমরা পুষ্টিবিদরা খাবার গ্রহণের বিষয় দিনে ছয়টি ভাগে ভাগ করে থাকি। এর মধ্যে ইফতার দুই ভাগে খেতে হবে। প্রথমে শুধু খেজুর ও পানি মুখে দিয়ে ইফতার করলেন, যাদের সুগারের সমস্যা নেই, তারা বাসায় বানানো কোনো একটি শরবত রাখতে পারেন। এরপর মাগরিবের নামাজ শেষে দ্বিতীয় ভাগে অন্যান্য খাবার খেতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে দ্বিতীয় ভাগে এসে প্রতিদিন ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। এতে শরীরে সমস্যা হতে পারে।

এজন্য ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে চিড়া, দই, কলা বা একটু সুপ অথবা নরমাল পাকের খিঁচুড়ি অথবা ভাপে বানানো কিছু পিঠা রাখলে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে। অনেকে আবার সবজি দিয়ে লাল আটার রুটি খেতে পারেন।

বড় কথা আমাদের সারা দিনের যে পুষ্টি চাহিদা, তা পূরণের জন্য যে ছয়টি পুষ্টি উপাদান—আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি, সেগুলো ইফতারের খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরি।

আরও পড়ুন