Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


শীতে ত্বক ভালো রাখতে করণীয়

Main Image

শীতের শুরুতেই সবাইকে সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে


ত্বক দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এটি দেহের ভেতরের অন্যান্য অঙ্গকে ঢেকে রেখে সুরক্ষা দিচ্ছে। পরিবেশের যত বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি ত্বককে হতে হয় শরীরের ভেতরের কোনো অঙ্গপ্রতঙ্গকে তা হতে হয় না।

ঠান্ডা, শীত, দূষিত আবহাওয়া, সূর্যের আলোর বিরূপ প্রভাবের বিরুদ্ধে আমাদের ত্বক সব সময় যুদ্ধ করে। এজন্য প্রত্যেক দিন বিশেষ করে শীতের সময় ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় গরম থাকে। তবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে শীত শুরু হয়। বেশ কয়েক মাস এর রেশ চলে। এ সময় আমাদের কাছে আসা রোগীরা বলে থাকেন, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে, চুলকাচ্ছে। আসলে এগুলো শীত ঋতু শুরুর লক্ষণ।

শীতের সময় বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায় এবং শরীরের ময়েশ্চারাইজার টেনে ফেলায় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের স্বাভাবিক পানিকেও টেনে শুকিয়ে ফেলায় সারাক্ষণ অস্বস্তিবোধ হয়।

এ সময় ত্বক দেখতে খারাপ লাগে। সব সময় চামড়া উঠতে থাকে। এত বেশি চুলকায় যে, মনে হবে কোনো চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। হাত ও পায়ে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ সময় চিকিৎসা না নিলে চুলকাতে চুলকাতে এক সময় অ্যাকজিমার আকার নেয়।

ত্বক শুষ্ক হলে বিশেষ করে শীতে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে শুরুতেই সবাইকে সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গোসলের পরপরই শরীর মুছে লোশন ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে পানি থাকতে থাকতেই লোশান লাগালে ময়েশ্চারাইজার ঠিক থাকবে।

লোশান ত্বকের পানিকে ধরে রেখে শুষ্ক হতে দেয় না। কিন্তু ত্বক শুষ্ক হওয়ার পর চুলকানির পর্যায়ে চলে গেলে বা অ্যাকজিমাটাইড হয়ে গেলে একজন ডার্মাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ তখন অ্যান্টি-অ্যাকজিমার ওষুধ খেতে হবে। কোন পণ্যে আরও ভালো ময়েশ্চারাইজার মিলবে তা চিকিৎসক ঠিক করে দিবেন। একই সাথে আরও কিছু ওষুধ খেলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

লেখক: সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর
ডার্মাটোলজি বিভাগ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা।

আরও পড়ুন