অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওষুধটি বাহুতে পরপর দুটি ধাপে একসঙ্গে দেওয়া হবে।
টিকা যাদের শরীরে ঠিকমতো কাজ করছে না, তাদের জন্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী ওষুধ আনতে যাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
এখনো সংক্রমিত হননি এমন ব্যক্তিদের জন্য তৈরি এই ওষুধটি ছয় মাসেরও বেশি সময় ৮৩ শতাংশ সুরক্ষা দেবে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মার্ক ও ফাইজার করোনার মুখে খাওয়ার পিল তথা বড়ি এনেছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওষুধটি বাহুতে পরপর দুটি ধাপে একসঙ্গে দেওয়া হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, এই থেরাপির আসল সুবিধা হলো এটি একটি প্রতিরোধমূলক ওষুধ হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে গত আগস্টে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, এজেডডি৭৪৪২ অথবা ইভুশেল্ড নামে পরিচিত এই থেরাপি তিন মাস পরেও লক্ষণযুক্ত অসুস্থতা থেকে ৭৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
পরে আরেকটি আলাদা গবেষণায় বলা হয়, হালকা থেকে মধ্যম কোভিড-১৯ সংক্রমণে লক্ষণ প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে উচ্চমাত্রায় এজেডডি৭৪৪২ প্রদান করা হলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ৮৮ শতাংশ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মেনে পানগালোস এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন তথ্যগুলো ইভুশেল্ডের সম্ভাব্যতাকে সমর্থন করে এমন ক্রমবর্ধমান প্রমাণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিকল্প সরবরাহের কথা ভাবছি আমরা।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে এই ওষুধের অনুমোদন চায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
বর্তমানে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে। এবার ওষুধটি বাজারে আনতে পারলে নিজেদের অর্জনে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
আরও পড়ুন