Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মেছতা কেন হয়, কি করবেন

Main Image

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, সন্তান প্রসবের পর ও সূর্যের আলোর প্রভাবে মুখের কিছু অংশ কালো হয়


অনেকের মুখের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাকের দুই পাশের জায়গাটি কালো হয়ে যায়। এতে মুখের মূল সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। কালো দাগটিকে মেছতা বলা হয়।

মেছতা নারীদের বেশি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাও এর শিকার হয়। তবে ত্বকের মানের ওপর এটি নির্ভর করে। কারও ত্বক সূর্যের আলো শোষণ করতে না পারলে কিছু নির্দিষ্ট অংশে কালো দাগ দেখা দেয়।

মেছতা কেন হয়
দুই থেকে তিনটি কারণে মেছতা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, সন্তান প্রসবের পর ও সূর্যের আলোর প্রভাবে মুখের কিছু অংশ কালো হয়। মেছতা জেনেটিক্যালি সাধারণত হয় না। তবে এটা তো সত্য, সন্তান মায়ের ত্বকের জিনগত কিছু বৈশিষ্ট্য পেয়ে থাকে। মায়ের ওয়াইর ত্বক থাকলে মেয়েরও তা হতে পারে। ফলে সূর্যের আলো একেকজনের ত্বকে একেক ধরনের প্রভাব ফেলে। সাদা, কালো ও সাধারণ ত্বকে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে।

মেছতা কত প্রকার
মেছতা দুই রকম হতে পারে। একটি হচ্ছে, ইপিডারমাল হাইপার প্রিভেন্ডেশন সুপারফেসিয়াল; অন্যটি ডারমাল হাইপার প্রিভেন্ডেশন। একটি লাইট পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা কোনটি ইপিডারমাল আর কোনটি ডারমাল মেছতা তা নির্ণয় করতে পারব।

মেছতা হলে করণীয়
>> ইপিডারমাল সুপারফেসিয়াল হলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা প্রোপার নামের একটি সানব্লক ব্যবহার করি। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষায় দিনের বেলা বের হলে সানব্লকটি ব্যবহার করতে হবে। আর রাতে যে কোনো একটি ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করতে হবে। ব্লিচিং এজেন্টগুলোর মধ্যে সাধারণত হাইড্রোকুইনোন, ফলিক এসিড ও এসকরবিক এসিড থাকে। এসব দিয়ে ব্লিচ করলে আমাদের মেছতাগুলো চলে যাবে এবং ৪০ শতাংশ মেছতা ব্লিচিংয়ে সেরে যায়।

>> অনেক সময় হাইড্রোকুইনোন দিয়ে ব্লিচ করার পরও মেছতা ফিরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা ক্লিগমেজ ফর্মুলা ব্যবহারের পরামর্শ দেই। ক্লিগমেজ হলো, হাইড্রোকুইনোনের সাথে একটু স্টেরয়েড, একটু ভিটামিন ‘এ’ ডেরিভেটিভ ও ট্রিটিনাইনের মিশ্রন করা। এগুলো রাতে মুখে লাগালে বেশিরভাগ সময় মেছতা চলে যায়।

>> এরপরও যদি আবার মেছতা দেখা দেয়, তাহলে কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করতে হবে। ড্রাইকোলিক এসিড ও ট্রাইক্লোরো এসিটিক এসিড দিয়ে কেমিক্যাল পিল করতে হয়।

>> তবে সব ক্ষেত্রেই আমাদের ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মেছতা হওয়ার পেছনে যেসব কারণ রয়েছে, সেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন