Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


যমজে আগেভাগে ডেলিভারি কেন হয়, করণীয়

Main Image

টুইন প্রেগনেন্সিতে মায়ের পেট অনেক বড় হয়। এরই প্রভাব পড়ে জরায়ুর মুখের মধ্যে


পরীক্ষার পর যমজ শিশু নিশ্চিত হওয়ার পর মাকে বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বেশি বিশ্রাম নিতে হবে। টুইন প্রেগনেন্সিতে সন্তান ও মায়ের কিছু কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আগেভাগে প্রসব ব্যথা ওঠা ও ডেলিভারি হয়ে যাওয়া।

এ বিষয়ে ডক্টর টিভিকে অধ্যাপক ডা. শামীম ফাতেমা নারগিস (সাবেক অধ্যাপক, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল মিটফোর্ড কলেজ) জানান, টুইন প্রেগনেন্সিতে মায়ের পেট অনেক বড় হয়। এরই প্রভাব পড়ে জরায়ুর মুখের মধ্যে। জরায়ুর মুখে বাড়তি চাপ বা স্ট্রেসের কারণে অনেক সময় আগেভাগে প্রসব ব্যথা ওঠে। কারণ যে হরমোন বা এনজাইম রিলিজ হয়, সেটি জরায়ুর মুখ খুলে দেয়। এজন্য আগেভাগে ব্যথা ও সন্তান প্রসব হয়ে যায়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. রাতু রোমানা (একাডেমিক পরিচালক, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ এবং সাবেক অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) জানান, টুইন প্রেগনেন্সিতে প্রিম্যাচিওর বা আগেভাগে প্রসব ঠেকানো কঠিন। কথাটি শুনে অনেকে হতাশ হতে পারেন। তবে মায়েরা গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিশ্রাম নিলে প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি হলেও সন্তানরা অনেক সবল হবে এবং বেঁচে থাকার লড়াই তারা ভালোভাবে করতে পারবে।

তিনি জানান, অনেক গর্ভবতী কর্মজীবী, অনেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন, অনেকে ভারী বিভিন্ন কাজ করেন। অন্তঃসত্ত্বাদের সাধারণত স্বাভাবিক কাজও ছয় মাসের পর থেকে একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ ছয় মাসের পর যেকোনো সময় প্রসব ব্যথা উঠে যেতে পারে। অনেকে বলে থাকেন, সন্তান একটু বড় করে নিই। সন্তানকে বড় করতে গেলে তো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আপনার ছুটি নিতে হবে। কারণ শিশুরা সহজে বড় হয় না, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সন্তানটিও মায়ের কাছে শিশুই থাকে।

তিনি আরও বলেন, সন্তান প্রসবের আগ পর্যন্ত সে আপনার পেটে থাকে এবং তার দেখভালের দায়িত্ব একান্তই আপনার ওপর। কারণ প্রসব হওয়ার পর তাকে স্বজনরাও দেখাশোনা করতে পারবে। সুতরাং ছুটি ডেলিভারির আগে নিতে হবে। সন্তান পেটে থাকাকালীন বিশ্রাম দরকার। আমরা প্রসবের তিন মাস আগে থেকে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেই।

আরও পড়ুন