Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মাদক সম্পর্কে সচেতন করার সঠিক বয়স

Main Image

১৪-১৫ বছর বয়স অর্থাৎ কৈশোর বয়সেই তাদের সাথে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত


মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে জানতে হবে মাদকাসক্তি কী? নেশায় জড়িয়ে পড়া বা মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। সাধারণত চিকিৎসাবিদ্যায় মাদকাসক্তিকে বলা হয়, ক্রনিক রিলাক্সিং ব্রেইন ডিজিজ বা বার বার হতে পারে এমন স্নায়বিক রোগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করার কিছু শর্ত আছে। প্রথমত, যেকোনো উপায়েই হোক নেশাদ্রব্য সংগ্রহ করতে হবে, যেটিকে ইংরেজিতে ক্রেভিং বলে। দ্বিতীয়ত, নেশাবস্তু গ্রহণের মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে দেয় বা বাধ্য হয়, যেটিকে টলারেন্স বলা হয়। তৃতীয়, নেশাবস্তুর প্রতি দৈহিক এবং মানসিক নির্ভরতা গড়ে ওঠে। নেশাবস্তুটি গ্রহণ করতে না পারলে তার দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়।

এখন প্রশ্ন হলো ছেলেমেয়েদের কোন বয়সে মাদক সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে? আমরা মাদকাসক্তের পরিসংখ্যানে দেখেছি, সবচেয়ে কম বয়সে মাদকাসক্তের রেকর্ড হলো ৭ বছর। এ বয়সের শিশুরা মাদকাসক্ত হয়েছে, হয়তো নিজেরা বুঝে মাদক গ্রহণ করেনি তারা। হয়তো সে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, নিছক কৌতুহলের বশে খেয়েছে অথবা কেউ হয়তো তাকে জোর করেও সেটা খাওয়াতে পারে।

তবে এত অল্প বয়সে তাদের সঙ্গে মাদক নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। কৈশোরকালীন সময়টা, যেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১২ বছর বয়স বলে। আবার অনেকে ১০ বছর বয়স বলে, সেই সময় থেকে ১৮-১৯ বছর বয়স পর্যন্ত যেটিকে আমরা টিনএজ বলে থাকি। এই ১২ থেকে ১৪ বছর বয়স থেকে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সময়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ থাকে অনেক কিছু জানার। এই বয়সেই তারা নিজের সম্পর্কে জানতে চায়, নিজের একটা আইডেন্টিটি প্রকাশ করতে চায়। এই সময়টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মাদকসহ সমাজের বিভিন্ন নিষিদ্ধ বা সমাজে স্বীকৃত নয় এমন কাজে জড়িয়ে পড়ার।

এই সময়ে কৌতুহল বা উৎসাহ থাকাকে আমরা সব সময়ই ন্যাচারাল বা স্বাভাবিক মনে করি। সুতরাং এই ১৪-১৫ বছর বয়স অর্থাৎ কৈশোর বয়সেই তাদের সাথে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তাদের বুঝানো উচিত, কেন এটা খারাপ, এর ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, এগুলো নিয়ে তাদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন