দাঁত ভাল রাখতে নিয়মিত যত্ন জরুরি
দাঁতে কালো ক্ষুদ্র কণা দেখা দিলেও আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। কিন্তু দাঁতের যেকোনো ক্ষয়রোগ শুরু হয় এ কালো কণা থেকে।
কেন দাঁতে কালো কণার জন্ম নেয় এবং কী করলে এটি থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়, ডক্টর টিভিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমইউ) আবাসিক সার্জন (অর্থোডন্টিস্ট বিভাগ) ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী।
তিনি বলেন, দাঁতের কোন অংশ ক্ষয় হওয়ার আগে কালো হয়। মূলত খাদ্যকণা জমে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। এ ব্যাকটেরিয়া কালো দাগ তৈরি করে ও এক সময়ে গর্ত দেখা হয়। এরপর ব্যথা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রে আগেও ব্যথা হতে পারে। এমনটি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী বলেন, চিকিৎসক জায়গাটি পরিষ্কার করবেন, প্রয়োজনে ফিলিং করে দিবেন। সময় মতো দাঁতের এ কালো দাগ দূর করে ফিলিং করান, তাহলে দাঁতে অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। চিকিৎসা না করলে ও অ্যাপিক্যাল অ্যাবসেস হলে রুট ক্যানেলের মাধ্যমে দাঁত রক্ষা করা যায়। যদিও তা খুবই ব্যয়বহুল।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, বাচ্চাদের ২০টি দাঁত ওঠে, আবার পড়েও যায়। কিন্তু পেছনের ছয় নম্বর দাঁতটি একবারই ওঠে। খাবার খাওয়ার জন্য দাঁতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সামনের দাঁতগুলো আঁকাবাঁকা হলে ছয় নম্বর দাঁত থেকেই সাপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকদের কাজ করতে হয়।
ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী বলেন, দাঁতে কালো দাগ যাতে না হয় সেজন্য কিছু কাজ করতে হবে। প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমাবার আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দিনে মাত্র একবার দাঁত ব্রাশ করলে, অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে করতে হবে। দেড় থেকে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ করা উত্তম। এর বেশি বা কম সময় নেওয়া ঠিক নয়। ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকার মধ্যে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, চুইংগাম, কেক, ফাস্টফুড খাবার পর অবশ্যই পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করবেন। মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে টানা ব্যবহার করবেন না। ৪-৫ দিন অন্তর এটি ব্যবহার করা ভালো। তাহলে মুখে দুর্গন্ধ হবে না।
আরও পড়ুন