Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


উত্তরবঙ্গের এক কলেজ থেকে ৪৩ জনের মেডিকেলে চান্স

Main Image

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ


ঐতিহ্যবাহী নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে এ বছরও কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই কলেজ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৪৩ জন এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের ৪০ জন এবং আগের শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।

গত ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২১৪ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় বলে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক জানান।

ডক্টর টিভিকে তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজটি একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় মেধার ভিত্তিতে। এটি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।’

অধ্যক্ষ আহমেদ ফারুক বলেন, ‘এখানে যারা কাজ করেন তারা সবাই নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে কাজ করেন। আমি এই কলেজের প্রধান হিসেবে গর্ববোধ করি। আর সাফল্যটাকে সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করি।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ে খারাপ করলে বা ক্লাস না করলে, আমরা শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে তার সমস্যা চিহ্নিত করে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি। ফলে শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার সুযোগ থাকে কম। এজন্য আমাদের সাফল্যটা ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে।’

করোনায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, এই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের পরেই করোনা চলে আসে। তাই তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা না গেলেও, অনলাইনের মাধ্যে আমরা তদারকি করেছি। এর বাইরে আমাদের কলেজের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সাবেক শিক্ষার্থীরা (যারা বর্তমানে বিভিন্ন মেডিকেলে পড়াশুনা করছেন বা ডাক্তার হয়েছেন) সবসময় কীভাবে কী করলে ভালো হয়, সে বিষয়ে বর্তমান শিক্ষর্থীদের পরামর্শ দিতেন।’

বর্তমানে মেডিকেল পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আহমেদ ফারুক বলেন, ‘যেহেতু তাদের সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ নেই, সেজন্য তাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে দিয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া এবং তদারকি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে এক গ্রুপ পিছিয়ে পড়লে, অন্য গ্রুপের সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় ভার্চুয়াল শিক্ষায় ইন্টারনেট এবং শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের সমস্যা কারণে কিছুটা ঝামেলা হলেও আমরা চেষ্টা করছি ভালো করার।’

আরও পড়ুন