Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


নারীদের পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞের ৭ পরামর্শ

Main Image

মডেল ফারজানা নিশি


পিসিওএস (পলি সিস্টিক ওভারি সিনড্রোম) নারীদের হরমোনজনিত একটি রোগ। এর পুরোপুরি নিরাময় এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে কিছু নিয়ম মানলেই এই জটিল রোগটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আসুন জেনে নেই সেসব পদ্ধতিগুলো।

১. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়। ডায়েট, ব্যায়াম ও ওষুধ। কিশোরীদের ক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহণ কম হওয়া উচিত। তাদেরকে ডায়েট ও ব্যায়ামের ওপর বেশি জোর দেয়া উচিত। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা। বাসায় নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট পরিমান সময় ব্যায়াম করা। ডায়েট কন্ট্রোল মানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। যেমন: ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পরিহার করা। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবা, ডার্ক চকলেট, চিপস, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলা।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: অধিক প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা। সেক্ষেত্রে শর্করা ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। তবে শর্করার ক্ষেত্রে ভাত ও রুটি কমাতে হবে। শাক-সবজি, ভিটামিন 'সি' ও 'ই' যুক্ত ফলমূল খেতে হবে। বাহিরের ভাজা-পোড়াসহ সব ধরণের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

শর্করা: লাল চাল, মিষ্টি আলু, ছোলা, কলমিশাক, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউ ও মিষ্টিকুমড়া শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, শজনে, পাকা আম, কাঁঠাল, আপেল, পেয়ারা, আমড়া, আমলকী এসব গ্রহণ করা যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আমিষ: যেমন- ডাল, বাদাম, বিট, মাশরুম, অ্যাভোকাডো, ডিম, মুরগির বুকের মাংস, টার্কি, সামুদ্রিক মাছ, চিজ, দুধ, টক দই, সয়া মিল্ক। যা শরীরে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন বাড়াবে।

ভিটামিন বি-১২: পিসিওএস রোগীদের প্রজননক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে। প্রাণীজ খাবারে এসব পাওয়া যায়।

ফলিক অ্যাসিড: পালংশাক, মটরশুঁটি, সবুজ শাক, অ্যাভোকাডো, ব্রকলি ফলিক অ্যাসিড বাড়াতে সহায়তা করে।

ফ্যাট: রক্তে ইনসুলিন সরবরাহ ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, ইলিশ, তিল, তিসি, বাদাম, অলিভ ওয়েল।

ফল: পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, আঙুর, কিসমিস, তরমুজ। এছাড়া, শসা, লেবু জাতীয় ফল, পেয়ারা খুব ভালো উপকারী।

৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ঘরে, অফিসে ও বাইরে সর্বত্র স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

৪. পরিমিত ঘুম:  দৈনিক কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো। বেশি রাত না জাগা ও ভোরে ওঠার অভ্যাস করা।

৫. হতাশা ও সব ধরণের দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।

৬. প্রচুর পানি পান করা। চা, কফির অভ্যাস কমানো।

৭. ধুমপানসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় অভ্যাস পরিহার করা।

 

 

আরও পড়ুন