বিএপি’র কনফারেন্সে পুরস্কার জিতলেন ৬ চিকিৎসক
বিএপি’র কনফারেন্সে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) এর ১১তম আন্তর্জাতিক সাইকিয়াট্রি কনফারেন্সে বিভিন্ন বিভাগে গোল্ডমেডেল অ্যাওয়ার্ডসহ পুরস্কার জিতেছেন ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
কনফারেন্সে প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড-২২’ পেয়েছেন ডা. আহসান আজিজ সরকার। তাকে পুরস্কার তুলে দেন দেশের প্রবীণ ও প্রখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্টস, বিএপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম।
‘সার্ক সাইকিয়াট্রিক ফেডারেশন ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড-২২’ বিজয়ী হয়েছেন ভারতের ডা. অসিম মেহরা।
‘প্রফেসর ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী রিসার্চ গ্রান্ট-২২’ অ্যাওয়ার্ড জিতেন ডা. জাকিয়া আহমেদ।
মোহাম্মদ তারিকুল আলম বেস্ট পোস্টার প্রেজেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২২’ পেয়েছেন ৩ জন। এরমধ্যে প্রথম পুরস্কার জিতেন ডা. সৃজনী আহমেদ। দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন যৌথভাবে ডা. নাঈম আক্তার আব্বাসী এবং ডা. খালেকুজ্জামান।
এছাড়া প্রোগ্রামে আউটস্টান্ডিং কন্ট্রিবিউশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ডা. রুবিনা হোসাইন।
বিজয়ীদের হাতে গোল্ড মেডেল, ক্রেস্ট, ৫০ হাজার টাকার চেক ও অন্যান্য পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
কনফারেন্সে মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোপাল শংকর দে। সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রয়াত অধ্যাপক ডা. গোপাল শংকর দে’র মেয়ে ডা. সেজুতি দে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্টিক অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউপিএ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আফজাল জাভেদ, সার্ক সাইকিয়াট্রিক ফেডারেশনের (এসপিএফ) সভাপতি ডা. গৌতম সাহা, বিএপি’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম আবদুল আজিজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে অনুষ্ঠিত হয় বিএপির ১১তম ইন্টারন্যাশনাল সাইকিয়াট্রি কনফারেন্স (আইসিপি) এবং সার্ক সাইকিয়াট্রিক ফেডারেশনের (এসপিএফ) ১৩তম সার্ক ইন্টারন্যাশনাল সাইকিয়াট্রি কনফারেন্স (এসআইপিসি)।
২ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশ বিদেশের কয়েক শ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। এতে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, অ্যাওয়ার্ড প্রদান, আলোচনা, গবেষণা উপস্থাপনা, ছাড়াও দুটি মানসিক রোগের চিকিৎসা নির্দেশিকা উন্মুক্ত করা হয়।