দেশের ৫৫ ভাগ মাতৃমৃত্যুর জন্য দায়ী দুই কারণ
মাতৃমৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি
আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। মাতৃত্বকে কীভাবে নিরাপদ করা যায় সে বিষয়ে সচেতনার লক্ষে প্রতিবছর ২৮ মার্চ দিবসটি পালন করা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধ করুন’।
মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি। প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী মৃত্যুর মধ্যে এই দুই কারণই ৫৫ ভাগ দায়ী বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস)।
এছাড়া অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণে ২৭ শতাংশ, গর্ভপাতের কারণে ৭ শতাংশ, বাধাগ্রস্থ বা অবিরাম প্রসব বেদনার কারণে ৩ শতাংশ মৃত্যু হয়ে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত ৮ শতাংশ মাতৃমৃত্যুর কোনো কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে থাকে মেটারনাল অ্যান্ড পেরিনেটাল ডেথ সারভিলেন্স অ্যান্ড রেসপন্স (এমপিডিসিআর)।
সংস্থাটির তথ্যমতে, মোট মাতৃমৃত্যুর ২৯.৩ শতাংশ ঘটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২৫.৫ শতাংশ বাড়িতে এবং ২২.৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়।
এছড়া জেলা সদর হাসপাতালে ৬.২ শতাংশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩.৯ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২.৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয় বালে জানা গেছে।
মোট মাতৃমৃত্যুর ৫৮ শতাংশই হয় সন্তান প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এর মধ্যে প্রথম ৬ ঘণ্টার মধ্যে ৩৩.২ শতাংশ, ৭-১২ ঘণ্টার মধ্যে ১৭.৩ শতাংশ এবং ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭.৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে এমপিডিসিআর।
এছাড়া প্রথম ১-৭ দিনের মধ্যে ১৮.৯ শতাংশ এবং ৮-১৪ দিনের মধ্যে ১২.২ শতাংশ মৃত্যু হয়ে থাকে।