ডাক্তারদের দুটি যৌক্তিক দাবি আদায়ে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি: সারজিস
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম
ডাক্তারদের দুটি যৌক্তিক দাবি আদায়ে আগামীকাল থেকেই কাজ শুরু করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। দাবি দুটি হচ্ছে- বিসিএস এ ডাক্তারদের বয়স বাড়িয়ে ৩৪ এ উন্নীত করা এবং বেসরকারি রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভাতা বিসিএস নবম গ্রেডের সমমানে উন্নীত করা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিস তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে ৪ বছরে তাদের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন, সেখানে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর এমবিবিএস তথা গ্রাজুয়েশন করতে ৬ থেকে সাড়ে ৬ বছর লেগে যায়। এ কারণে ইতোপূর্বে বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারিত থাকলেও চিকিৎসকদের জন্য তা ৩২ বছর ছিল। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিএস এ অংশ নেয়ার বয়সসীমা ৩২ বছরে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। কিন্তু আনুপাতিকহারে চিকিৎসকদের জন্য বয়স বাড়ানো হয়নি। এখন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে যৌক্তিক কারণে বিসিএস এ অংশগ্রহণের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করার দাবি উঠেছে। এই দাবি আদায়ে লিগ্যাল প্রসেসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ডাক্তারদের এই যৌক্তিক দাবি আদায়ে আগামীকাল থেকেই কাজ শুরু করার কথা বলেন তিনি।
সারজিস আরও বলেন, প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরদের সম্মানি বাড়াতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর আন্দোলন করতে হয়। তাদের ভাতা ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তা ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। বেসরকারি রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের অনেকেরই ফ্যামিলি রয়েছে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এই সামান্য ভাতায় তাদের জীবন নির্বাহ করা অসম্ভব। এ কারণে তাদের ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা যাতে বিসিএস নবম গ্রেডের সমমানে উন্নীত করা সম্ভব হয়, সে ব্যাপারেও কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আগামীকাল থেকেই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন সারজিস।
তিনি বলেন, শুধু ডাক্তার নয়, অন্য যেকোন পেশার ন্যায্য অধিকার আদায়ে, যৌক্তিক দাবি পূরণে কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।