ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. মালিকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত বছর ৫ ডিসেম্বর নিজের প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। মরহুম ডা. আব্দুল মালিককে তার জন্মস্থান দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে দাফন করা হয়।
মরহুম ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটবিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে নয়টায় কুচাইতে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পন ও বিশেষ মোনাজাত, দুপুর ১২ টায় সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল এবং ফ্রি হার্ট ক্যাম্প।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মাতার নাম মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন। প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল।
মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তখন তৎকালীন পূর্ব পাকিন্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় তিনি ১১তম স্থান অর্জন করেন।
আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।