ক্যান্সারের সর্বাধুনিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা চালু হচ্ছে বারডেমে
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
ক্যান্সারের আধুনিক রোগনির্ণয় সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা চালু হতে যাচ্ছে বারডেম হাসপাতালে। ‘নেক্সট জেনারেশন সেকুয়েন্সিং’ বা এনজিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যান্সারের ডিএনএ ও আরএনএ বিশ্লেষণ করে প্রথমে রোগনির্ণয় এবং পরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বারডেমে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রথমবারের মতো ক্যান্সার ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারডেম মিলনায়তনে (৩য় তলা) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান বারডেমের পরিচালক (প্রকাশনা ও জনসংযোগ) ফরিদ কবির।
শনিবার বারডেম থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই বারডেমে ‘নেক্সট জেনারেশন সেকুয়েন্সিং’ বা এনজিএস-ভিত্তিক বিআরসিএ-১ ও বিআরসিএ-২-এর মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার ও ডিম্বাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসা চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানে ফুসফুস, কোলন ও প্রোস্টেটের মতো সলিড টিউমারের ক্ষেত্রে এনজিএস-ভিত্তিক ক্যান্সার জিন প্যানেল পরীক্ষার প্রবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে লিকুইড বায়োপ্সির মতো অত্যাধুনিক পরীক্ষাও শিগগির শুরু হবে। বারডেমে অত্যাধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসা ও রোগনির্ণয় সুবিধা থাকায় রোগীরা দেশেই উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
বারডেম আরও জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩-১৫ লাখ, যার মধ্যে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়। পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং হেড-নেক ক্যান্সার রয়েছে শীর্ষ স্থানে। নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
বারডেমের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের পাঁচটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে ক্যান্সারের স্থান চতুর্থ। পৃথিবী জুড়ে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনিরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ। এসব রোগের কারণে ১৭০ লাখ মানুষের মৃত্যুর মধ্যে ৮৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটছে বাংলাদেশের মতো নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতেই। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার শনাক্ত হয় দেরিতে। এর মূল কারণ দেশে উপযুক্ত রোগনির্ণয়ের সুবিধা না থাকা।