মানসিক স্বাস্থ্যসেবা হটলাইন ‘মনের যত্ন’ চালু করল ব্র্যাক

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-11-14 12:48:00
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা হটলাইন ‘মনের যত্ন’ চালু করল ব্র্যাক

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা হটলাইন ‘মনের যত্ন’ চালু করল ব্র্যাক

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি হটলাইন চালু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি’ (ব্র্যাক)। ‘মনের যত্ন’ শীর্ষক এই উদ্যোগের মাধ্যমে উদ্বেগ, আতঙ্ক বা মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তিদের, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের জন্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে বিনামূল্যে টেলি-কাউন্সেলিং সেবা দেয়া হচ্ছে।

 

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইইডি) এবং ‘নিরাময়’ নামের একটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতায় এটি পরিচালিত হচ্ছে। মানসিক যন্ত্রণার কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য হটলাইনটি তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দিচ্ছে, যেখানে সেবা গ্রহীতারা নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার কথা মন খুলে বলতে পারছেন।

 

এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানায়, এমন একটি সময়ে এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে, যখন এদেশে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দিন দিন বাড়ছে।  

 

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব, সেবা গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা না থাকা, সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয় এবং নানা রকম সামাজিক চাপের কারণে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এই সেবা নিতে আগ্রহী হন না। ‘দ্য ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি’র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারী পেশাদারদেরও অভাব রয়েছে। এখানে প্রতি দশ লাখ মানুষের জন্য একজন মনোবিদও নেই। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই ঘাটতির কারণে ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবার উপরই প্রভাব ফেলছে।

 

০৯৬৪৩২৬২৬২৬ নম্বরে কল করে অথবা অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে ‘নিরাময় পেশেন্ট অ্যাপ’-এর মাধ্যমে এই সেবা নেয়া যাচ্ছে। ব্র্যাকের ৭০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষিত মনোবিদ এবং সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর সহমর্মীতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে এই সেবা দিচ্ছেন। প্রতিটি সেশন বা আলোচনা সাধারণত ২০ মিনিট স্থায়ী হয়, তবে সেবা গ্রহীতার সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আরো ১০ মিনিট দীর্ঘ হতে পারে। প্রতিটি কলকে একটি সেশন হিসেবে ধরা হয় যা তাৎক্ষণিকভাবে মানসিক সমস্যা লাঘবে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ফলো-আপের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।


আরও দেখুন: