ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিটের শুনানি ৬৮তম বারের মতো পেছাল
হাইকোর্ট
নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিটের শুনানি ৬৮ বারের মতো পেছাল। রোববার (৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের আদালত রিট শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৬ নভেম্বর ধার্য করেন।
২০১৩ সালে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (স্যাকমো) কয়েকজন বিএমডিসি আইনকে অবজ্ঞা করে নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করার জন্য আদালতে একটি অযৌক্তিক, আইন বিরোধী রিট দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল এই রিটের প্রথম শুনানি হয়, তারপর থেকে রিটটি আদালতে ৬৮ বার কজ লিস্টে আসার পরও শুনানি হয়নি।
এর আগে শনিবার (২ নভেম্বর) ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তির দাবিতে দেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ নানা স্থানে সমাবেশ করেছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সমন্বিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গেনাইজেশন্স অব বাংলাদেশসহ (ইউমব) চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।
সেখানে চিকিৎসকেরা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে নিষ্পত্তি না করে বারবার পেছানোর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির মৌলিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যারা ডাক্তার না তারা নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করে যাচ্ছেন, যার কারণে অবাধে শক্তিশালী এন্টিবায়োটিকগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বিরাট হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অবাধে স্টেরয়েড নামক ঔষধ ব্যবহার হচ্ছে- যা জনস্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে, অনেক জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এরকম অসংখ্য অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে এই দেশের জনসাধারণ, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ বলে জানান বক্তারা।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অনতিবিলম্বে এই রিটের নিষ্পত্তিকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান করা হচ্ছে। অন্যথায় এ দেশের সচেতন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনতা আদালত এবং সরকারের উপর আস্থা হারাবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তারা।