‘ডিমেনশিয়ার ওষুধ নেই, সেবা যত্ন দিয়ে আক্রান্তকে ভাল রাখা সম্ভব’
আলঝেইমার সোসাইটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ৩৬০ ঘন্টার ডিমেনশিয়া কেয়ার লেভেল-৩ কোর্সের দ্বিতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম
স্মৃতিভ্রংশ তথা ডিমেনশিয়া রোগের কোন কার্যকর ওষুধ নেই, কেবল নিবিড় সেবা যত্ন দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভাল রাখা সম্ভব। আলঝেইমার সোসাইটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ৩৬০ ঘন্টার ডিমেনশিয়া কেয়ার লেভেল-৩ কোর্সের দ্বিতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা এ কথা বলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলদেশ কার্যালয়ে (হাউস নং- ৪২, রোড নং- ৪/এ, সেক্টর-১৭/ডি, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশিষ্ট প্রজনন ও নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আখতার, রোটারিয়ান সেজান খান (প্রেসিডেন্ট ডিমেনশিয়া চ্যাম্পিয়ন, Women Entrepreneur Association (WEA) এবং ডিমেনশিয়া চ্যাম্পিয়ন)। উপস্থাপনা করেন রোটারিয়ান ফাহমিদা সুলতানা (১ম ব্যাচ)।
অনুষ্ঠানে বক্তার বলেন, বর্তমানে ডিমেনশিয়া পুরোপুরি ভাল করার কোন কার্যকর ঔষধ নেই। একমাত্র সেবা যত্ন দিয়েই ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভালো রাখা যায় এবং তারা মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে।
দেশে এখন ডিমেনশিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ। ২০৪১ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ লাখ- যা আসন্ন মহামারী! যেহেতু দেশে দক্ষ ডিমেনশিয়া কেয়ার বিশেষজ্ঞ/কেয়ারগিভার নেই। এ কারণে সামনের দিনগুলোতে ডিমেনশিয়া একটা বড় ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে।
তারা আরও বলেন, ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের দেখভাল খুব ভালো করে করতে হয়। যা পরিবারের মানুষের পক্ষে অসম্ভব। দেশে ডিমেনশিয়া নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারলে মানুষগুলোকে অবহেলিত কিংবা অমানবিক জীবনযাপন করতে হতো না।
একটি সরকারি দক্ষতা সার্টিফিকেট বদলে দিতে পারে আপনার ক্যারিয়ার- এ স্লোগানে আয়োজিত কোর্সের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য নিয়ে ধারণা দেন আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল মো. আজিজুল হক। তিনি বলেন, এই কোর্স থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করবেন তা হলো-
১. ডিমেনশিয়া আক্রান্ত পরিবারের সদস্যের (বাবা /মা/ স্বামী/ স্ত্রী) সেবা করার সুযোগ।
২. দেশে কেয়ার বিশেষজ্ঞ/ কনসালট্যান্ট / ফ্যামেলি ও প্রফেশনাল কেয়ারগিভার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
৩. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদেশে কেয়ারগিভার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
৪. ডিমেনশিয়া কেয়ার বিষয়ক ট্রেইনার হওয়ার সুযোগ।
৫. ডিমেনশিয়া কেয়ার বিষয়ক NSDA অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে এসেসর হওয়ার সুযোগ।
৬. ডিমেনশিয়া কেয়ার বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
৭. ডিমেনশিয়া বিষয়ক গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ।
আলঝেইমারস অ্যান্ড রিলেটেড ডিসঅর্ডার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল মিসেস নীলাঞ্জনা মৌলিকের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ডিমেনশিয়া কেয়ারগিভারদের জন্য অনুপ্রেরণা মূলক ভিডিও দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ডিমেনশিয়া কেয়ারগিভার শানজিদা শারমিন (১ম ব্যাচ), ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষার্থী রোটারিয়ান শিখা দাস, হোসনে আরা খান, আল আল-এহসান সিদ্দিক, ফাতেমা আক্তার।