এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার নয়: চিকিৎসক নেতারা
সমাবেশে চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা
দু-একটি ওষুধের নাম জানা থাকলেই নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন অনেকে। কিন্তু নেই কোনো ডিগ্রি বা পড়াশোনা। একজন আইনজীবী হতে যেমনি বার কাউন্সিলে উত্তীর্ণ হতে হয়; তেমনি ডাক্তারকেও এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। অথচ আজকাল হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়েই ডাক্তার পদবি লাগিয়ে নিয়মিত রোগী দেখছেন। তাদের ভুল চিকিৎসার জন্য মূল চিকিৎসকদের বদনাম হয়। এমনকি আস্থা উঠে যাচ্ছে রোগীদেরও।
শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন চিকিৎসক নেতারা। ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নে তিন দফা দাবিতে এর আয়োজন করে ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশ তথা ইউমব। এতে অংশ নিয়েছেন চিকিৎসা অঙ্গনের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
ইউমব’র সদস্য ডা. এসএম মামুনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির আহ্বায়ক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ইউমবের মুখপাত্র ডা. মোবারক হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক ফোরাম নেতা ডা. সামিউর রশিদ রিফাত, ডা. ইমরান বিন নাসির, মহসিনা তানজিমসহ আরও অনেকে।
ব্ক্তারা বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ফার্মেসি বা ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ কারণে অনেক রোগীর অঙ্গহানি ও মৃত্যু হচ্ছে। মূলত তিন-ছয় মাসের কোর্স ডিপ্লোমাধারীরাই এসব কাজ বেশি করেন। আবার অনেকে না জেনেই নামধারী ‘হাতুড়ে’ ডাক্তারের কাছে যান। একপর্যায়ে সব হারিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। তখন আর কিছুই করার থাকে না। তাই অপচিকিৎসা না নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রোগীদের আসা উচিত। তাহলেই ভুয়া ডাক্তারদের দৌরাত্ম্য কমবে।
চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিটটি অনতিবিলম্বে নিষ্পত্তি করে বিএমডিসি আইন-২০১০ এর বাস্তবসম্মত প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ যেন ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত কতে হবে। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৪ প্রণয়নপ্রকল্পে পর্যাচোলনামূলক যে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে তা বিবেচনায় রেখে আগামী এক মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল রোববার ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তথা স্যাকমোদের রিটের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনের পর্যালোচনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।