আন্দোলনে আহত দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখে গুলি লাগা দুজনের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ইসরাফিল ও অনিকের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন সার্জারি শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এ কথা জানান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে পুনর্বাসনে সরকার আহতদের পাশে থাকবে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, চিকিৎসা থেকে শুরু করে রিহ্যাবিলিটেশন পর্যন্ত সরকারকে আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
নূরজাহান বেগম চক্ষু হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এছাড়া সদ্য সার্জারিকৃত ইসরাফিল ও অনিকের পরিবারের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দুইজন রোগীর চোখে কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টেশন করার জন্য সেবা ফাউন্ডেশন, ইউএসএ, নেপাল থেকে অতি সংবেদনশীল কর্নিয়াল টিস্যু বাংলাদেশে আনা হয়।
এর আগে সেবা ফাউন্ডেশন থেকে ৪০টি কর্নিয়া পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো আন্দোলনে আহত দুজনের চোখের কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, বৈষমবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও তারা যে ট্রমার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে তাদেরকে তুলে আনার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না ব্যক্তি হিসেবে আমি আপনি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে চোখের চিকিৎসার নানা ধাপ আছে, চোখের চিকিৎসা আর সার্জারি কারও এক মাস কারও ছয় মাস লাগে। এভাবে চোখের অবস্থা ভালো হলে কর্নিয়া সার্জারি করা হবে। পর্যাপ্ত কর্নিয়া আমাদের রেডি আছে।
এ সময় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীসহ হাসপাতালের ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।