স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা সুপারিশ এবি পার্টির

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-10-20 22:50:00
স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা সুপারিশ এবি পার্টির

রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে এসব সুপারিশমালা তুলে ধরেন এবি পার্টির নেতারা

স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। রোববার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে এসব সুপারিশমালা তুলে ধরেন পার্টির নেতারা।

 

এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া ও দলের স্বাস্থ্যসেবা নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ডা. সোনিয়া জেমিন প্রীতি।

 

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবি পার্টি উত্থাপিত সুপারিশগুলো গ্রহণ করেন এবং স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে নেতৃবৃন্দের মতামত জানতে চান।

 

এ সময় নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপ জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগকে আরও সক্রিয় করার অনুরোধ জানান।  

 

এবি পার্টির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে উত্থাপিত সুপারিশ গুলো হলো- জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা এবং অংশীজনদের মতামত গ্রহণ, স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, জনস্বাস্থ্য ও প্রাইমারি হেল্থ কেয়ারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া,  স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের ও ইন্টার্নদের মানসম্মত ভাতা বৃদ্ধি করা, রেফারেল সিস্টেম চালু করা, মানহীন সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়া, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করা, ওষুধের দাম কমানো ও জাতীয় ওষুধ নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলা, অতীতের দুর্নীতি ও সকল প্রকার অনিয়মের পুনরুত্থান রোধ করা, বিদ্যমান পোষ্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সগুলোর সময় কমিয়ে এনে ট্রেইনিদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশা দূর করে কোর্স গুলোকে গতিশীল করা, পাশের হার বাড়ানো,  ৪২তম বিসিএস সহ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সকল আবেদনকারীদের পদায়নের সুপারিশ করা,  প্রবাসী বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধা ও পোশাক শ্রমিকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা।


আরও দেখুন: