প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে অসঙ্গতি রয়েছে: ইউমব
ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ (ইউমব) এর লোগো
বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অসম্পূর্ণতা থাকায় ‘প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৪’ আইন আকারে বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হবে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সমন্বিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ (ইউমব)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে সংগঠনটি।
ইউমব এর মুখপাত্র ও ডক্টরস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মোবারক হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ক), ১৫ (ঘ) ও ১৮(১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্র কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য জনগণের নিকট দায়বদ্ধ। আর এই দায়িকে পরম দায়িত্ব হিসেবে বুকে লালন করে বাংলাদেশের চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ কিন্তু এই সেবা অব্যাহত রাখতে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন বিদ্যমান না থাকায় স্বাস্থ্য সেবাদাতা এবং সেবাগ্রহীতা উভয় পক্ষ অনিরাপদ ও চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছে। তাই এই স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ প্রণীত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৪টিতেও বেশ কিছু অসঙ্গতি, অস্পষ্টতা এবং অসম্পূর্ণতা রয়েছে, যা কার্যকর করার ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই আইন বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হবে।
এমতাবস্থায় ইউমবের পক্ষ থেকে প্রণীত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনের ব্যাপারে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনতা এবং অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্ম অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের সচেতন নাগরিক ও আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সার্বিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রণীত এই আইনের উপর একটি পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন ও প্রস্তাবিত সমাধানের রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইউমব প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বরাবর প্রেরণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইউমব এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।