রামেকের ইন্টার্ন হোস্টেলে গাঁজা সেবনের দায়ে ৬ মাসের শাস্তি পেল ডা. মিজান
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন হোস্টেলের রুমে গাঁজা সেবনের দায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. মিজানুর রহমানকে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন হোস্টেলের রুমে গাঁজা সেবনের দায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. মিজানুর রহমানকে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শাস্তি হিসেবে ডা. মিজানের নামে বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ও ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মেডিকেলের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তে কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘গত ২৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এই হাসপাতালের শহীদ জামিল আখতার রতন ইন্টার্ন হোস্টেলের ৩০০১ নম্বর রুম থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ অনুভূত হলে তৃতীয় তলার তৎকালীন অবস্থানরত সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক ৩০০১ নম্বর রুমে প্রবেশ করলে সেখানে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় এবং মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় আপনাকে (ডা. মো. মিজানুর রহমান) পাওয়া যায়।’
‘পরবর্তীতে ৩০০১ নম্বর রুম থেকে গাজা ভর্তি সিগারেট বিদেশি মদের বোতল জন্মনিয়ন্ত্রক কনডম ও অন্যান্য অপ্রত্যাশিত জিনিসপত্র পরিলক্ষিত হলে তখন বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘটনাটি এই হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আপনাকে (ডা. মো. মিজানুর রহমান) এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আপনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।’
‘এরপর পরিচালকের কার্যালয়ের ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আপনাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছিল। উক্ত কৈফিয়তে যে, জবাব আপনি প্রদান করেছেন, তা মোটেই সন্তোষজনক নয়। তদন্ত কমিটির উৎঘাটিত তথ্যের ভিত্তিতে আপনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ডিসিপ্লিনারী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইন্টার্নি ডাক্তার (শৃংখলা ও আচরণ) বিধিমালা ১৯৯৮ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো’, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-
১. শহীদ জামিল আখতার রতন ইন্টার্ন হোস্টেলে ২০০১ নম্বর রুমে আপনার (ডা. মো. মিজানুর রহমান) বরাদ্দকৃত সীট বাতিল করা হয়েছে।
২.ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং হতে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৩. ভবিষ্যতে আর এ ধরণের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড করবেন না মর্মে একটি মুচলেকা প্রদান করতে হবে।