অন্য দেশের জুনিয়র ও অযোগ্য চিকিৎসক বাংলাদেশে এসে রোগী দেখেন
রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্মাণকল্পে এজেন্ডাভিত্তিক অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত
চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিযোগ করে বলেছেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অন্য দেশের অনেক জুনিয়র ও অযোগ্য চিকিৎসক বাংলাদেশে এসে রোগী দেখেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্মাণকল্পে এজেন্ডাভিত্তিক অংশীজন সভায় তারা এ অভিযোগ করেন।
সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন, বিভিন্ন সময় মেডিকেল শিক্ষাকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় মেডিকেল শিক্ষাকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও প্রমোশনের সব বাধা দূর এবং কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, ভুয়া চিকিৎসক প্রতিরোধেও কঠোর হতে হবে। আমাদের সমস্যা চিকিৎসক না, সমস্যা হচ্ছে ভুয়া চিকিৎসক। এ সমস্যার দূর করতে হবে। এসময় কমিশন বাণিজ্য বন্ধে গুরুত্বারোপ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফ মোর্শেদ খান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের সাবেক সচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সাবেক প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. আফতাব উদ্দিন ও ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগমসহ অনেকে।