ব্রেইনে গুলিবিদ্ধ রিফাতের বেঁচে ফেরার গল্প (ভিডিওসহ)
ছাত্র-জনতার গনঅভ্যূ্ত্থানে গুলিবিদ্ধ রিফাত
সৃষ্টিকর্তার মহান কৃপায় মানবিক চিকিৎসক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবের পরম যত্নে ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন ছাত্র-জনতার গনঅভ্যূ্ত্থানে গুলিবিদ্ধ রিফাত। ডক্টর টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তাঁর বেঁচে ফেরার চমৎপ্রদ ঘটনা।
৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যূ্ত্থান। হাসিনার দেশত্যাগ। সাভারের আশুলিয়া তখনও চলছে গণহত্যার পর লাশের পাহাড়ে আগুন দেবার মতো লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ। ঐদিন মিছিলের সারিতে লাশের স্তুপে আর হাসপাতালের বারান্দায় ছুটে বেরিয়েছে একমাত্র সন্তান রিফাতের খোঁজে। কিন্তু ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাননি।
পরদিন ৬ অক্টোবর একজন জানান, আশুলিয়া থানার সামনে গাড়িতে আগুন দিয়ে কয়েকজনের মৃতদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে স্বৈরাচারের পক্ষে থাকা কতিপয় বিপথগামী পুলিশ। অবশেষে সেখান থেকে আগুনে মুখ ঝলসে যাওয়া বিকৃত পোড়া লাশকে ছেলে রিফাত মনে করে নিজ গ্রামে দাফন করেন বাবা লুৎফর রহমান।
তার ঠিক সাতদিন পরেই ঘটে গেল অলৌকিক ঘটনা। রিফাতের মায়ের দাবি ওর কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন ছেলের বেঁচে থাকার কথা। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভর্তি আছে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানকার চিকিৎসকদের তথ্যমতে, রিফাতের মাথার ঠিক পেছন থেকে গুলি লাগে। বুলেটটি ব্রেইনে আটকে যায়। মৃত্যুর ঝুঁকি থাকায় অপারেশন করেননি তারা। তবে প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা অব্যাহত রাখেন তারা। সন্তানের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এক পর্যায়ে তারা আসেন রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে। সেখানে ব্রেইন এন্ড স্পাইন সার্জন ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবের নেতৃত্বে সফল অপারেশনে ব্রেইন থেকে গুলি অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে রিফাতের। বর্তমানে সে অনেক সুস্থ বোধ করছে। বাবা-মাকে চিনতে পারছেন। বলতে পারছেন নিজের নাম-পরিচয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শতশত ছাত্র আহত নিহত আর পঙ্গুত্ব বরণ করছেন, তখন মানুষরুপী কিছু বিপথগামী চিকিৎসক প্রাণ বাঁচানোর পরিবর্তে করেছেন অসহযোগিতা। ঠিক তখনই আন্দোলনে আহত অর্ধশতাধিক ছাত্র জনতাকে বিনা খরচে চিকিসা সেবা দিয়েছেন ব্রেইন এন্ড স্পাইন সার্জন ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব। এ কাজে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।