রাজশাহীতে অনশনে নার্সিং শিক্ষার্থীরা

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-09-08 22:08:00
রাজশাহীতে অনশনে নার্সিং শিক্ষার্থীরা

সাত দফা দাবি আদায়ে এবার কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সেপ্টেম্বর মাসেই পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশসহ সাত দফা দাবি আদায়ে এবার কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।


অনশন করতে গিয়ে ৩ শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে প্রতীকী বিষপান কর্মসূচি চলাকালে তীব্র গরমে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

উল্লেখ্য, রামেবি অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহীর বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা গত বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বেলা ১১টায় রামেবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন। পরে দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী নার্সিং কলেজ ও সিরাজগঞ্জের সাখাওয়াত মেমোরিয়াল নার্সিং কলেজের দুজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।

 

এর আগে দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন শিক্ষার্থীদের কাছে যান। তিনি চলমান আন্দোলনের ১০ সমন্বয়ককে নিয়ে আলোচনায় বসেন এবং বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দফতরে জানান।

 

দফতর থেকে টেলিফোনে কবির উদ্দীনকে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে মিটিং চলছে। ফাইলও মিটিংয়ে রয়েছে। এ সময় কবির উদ্দীন সমন্বয়কদের ফিরে গিয়ে পরে খোঁজ নিতে বলেন। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সমন্বয়কেরা যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন।

 

সমন্বয়ক রায়হান আলী জানান, ‘আমাদের ১১ শিক্ষার্থী হিট স্ট্রোক করে হাসপাতালে মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। আমাদের তিন হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। সমাধান না নিয়ে আমরা ফিরে যাব না।’ তিনি ঘোষণা দেন, ফয়সালা না দিলে তারাই রামেবির ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়ে কার্যালয়ে বসবেন। পরে নোটিশ দিয়ে পরীক্ষা শুরু ও ফলাফল প্রকাশ করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


আরও দেখুন: