স্বাস্থ্যে অ্যাডহক নিয়োগ ও এন-ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-09-07 21:38:00
স্বাস্থ্যে অ্যাডহক নিয়োগ ও এন-ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

স্বাস্থ্য সেক্টরের অবৈধ অ্যাডহক নিয়োগ ও এন-ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। সেইসাথে বিগত সরকারের ২০১০-১১ সময়ে চুক্তিভিত্তিক অ্যাডহক (অস্থায়ী) ও বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক (প্রকল্প) নিয়োগপ্রাপ্ত ২ হাজার ৩৪৬ জনকে পিএসসি এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে এন–ক্যাডারমেন্টকরণ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি দেওয়ার অপেচষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন (২৪তম বিসিএস), সদস্যসচিব ডা. উম্মে তানিয়া নাসরিন (২৮তম বিসিএস)। হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন ২৫টি ক্যাডারের সমন্বয়ে গঠিত ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা মিলে সরকারি চাকরিবিধির লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুয়া পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীন করা হয়েছে। হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ সালে মামলা করা হয়। মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তারা অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি আদেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন শাখা পুনরায় অবৈধ পদায়ন আদেশ জারি করে।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যাঁরা তাঁদের চাকরিজীবনে কখনো কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেননি, যাঁরা বিসিএসে অকৃতকার্য হয়েও এন–ক্যাডার হয়েছেন, এন–ক্যাডারের পরে পুনরায় বিসিএস ক্যাডারের পাঁচটি শর্ত থেকে মাফ পেয়েছে। বিসিএস পাস কর্মকর্তাদের চেয়ে ওপরে স্থান পেয়েছেন। এসব কারণে ৩৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অনিয়মগুলো লিপিবদ্ধ করে উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্ম কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোতে জমা দেয়া হয়েছে। ক্যাডারকে অ্যাডহক (নব এন–ক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীন করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ বলে মন্তব্য করেন তারা। 

 

সংবাদ সম্মেলনে হেলথ ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো- সব প্রকার অবৈধভাবে স্হায়ীকরণ বাতিল করতে হবে। সব ধরনের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, সব ধরনের অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে, চলমান প্রমার্জনার সব প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে, এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


আরও দেখুন: