বন্যার্তদের জন্য গণত্রাণ সংগ্রহ চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেলে
বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একত্রে গণত্রাণ সংগ্রহ
বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একত্রে গণত্রাণ সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় চমেক শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামের সামনে এ গণত্রাণ সংগ্রহ শুরু হয়। গণত্রাণ সংগ্রহ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ত্রাণ সংগ্রহ শুরুর পর থেকে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশা-ভ্যান করে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসছেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। গাড়ি আসলেই মালামাল নামিয়ে স্টোর করছেন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সামগ্রীর পাশাপাশি নগদ অর্থ নিয়েও আসছেন সব বয়সী মানুষ।
ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকেও গণত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবিকতার আহ্বানে ছুটছেন সবাই। বলছেন, এ এক অনন্য বাংলাদেশ। এমন ঐক্য বজায় থাকলে সম্ভব যেকোনো ধরনেরই দুর্যোগ মোকাবিলা।
চট্টগ্রাম বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একত্রে গণত্রাণ সংগ্রহের সমন্নয়ক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাক, কান ও গলা বিভাগের ডা. মুকিত ওসমান চৌধুরী বলেন, বন্যার ত্রাণের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ত্রাণ পরবর্তী পুনর্বাসন। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে ত্রাণ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য আপাতত আমরা শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন ত্রাণ সংগ্রহ চলবে। পুরো দেশে যে প্রান্তে প্রয়োজন হবে, তা সরবরাহ করা হবে। মূলত চট্টগ্রামের সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে এক ছাতার নীচে এনে দেশ গড়ার ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।
ত্রাণ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান জয় বলেন, গণত্রাণ কার্যক্রম মঙ্গলবার (আজ) থেকে শুরু হলেও গত ৪ দিন চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ মুন্নাস একাডেমিতে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে গেছি। সেখানে জায়গার সংকুলান হয়নি। এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামটা ব্যবহার করছি। আমরা অডিটোরিয়াম থেকে ত্রাণ নিচ্ছি, আবার এখান থেকে বন্যার্ত এলাকায় বিতরণের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের গত ৪ দিনের সংগ্রহ করা ত্রাণের মধ্যে ১ হাজার প্যাকেট রোববার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে বিতরণের জন্য দিয়েছি। সেটা ইতোমধ্যে বন্টন করা শুরু করেছে বলে আমাদের জানিয়েছেন।