জাতীয় ডেঙ্গু দিবস আজ
১৬ মে, জাতীয় ডেঙ্গু দিবস
আজ ১৬ মে, জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ ডেঙ্গু সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতি বছর দিনটি পালন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের অগ্রগতি এবং অ্যান্টি-ভাইরাস ওষুধের বিকাশের মাধ্যমে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে গিয়েছে, বর্তমানে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব ডেঙ্গু।
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, এডিস মশার বিস্তার ঘটার কারণে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্নস্থানে পানি জমছে। সেখানে এডিস মশা ডিম দিচ্ছে। সেখান থেকে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। মশা কামড়ানোর ফলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
মেডিসিন বিশেষষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, জ্বর, গলাব্যাথা, মাথা ব্যাথা হলে অবহেলা করে ঘরে বসে থাকা যাবে না। ডাক্তার দেখাতেই হবে। অন্ততঃ ডেঙ্গু হয়েছে কী না তা পরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গু হলেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে ভীষণ ব্যথা হয়ে থাকে। এ সময় অনেকেই ফার্মেসিতে গিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন। এটা চরম ভুল। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। জ্বর হলে কী ধরনের খাবার খাবেন, সে বিষয়েও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু না করার পরামর্শ দেন তিনি।
ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর রোগীদের অবশ্যই মশারির ভেতরে অবস্থান করতে হবে। বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না।
অবশ্য রোগী খেতে না পারলে, কিংবা খাওয়ার পর বমি হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
বিশেষ করে ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগীদের কারো ডেঙ্গু হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। কোনভাবেই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা না করানোর পরামর্শ দেন মেডিসিন বিশেষষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।