রংপুর মেডিকেলের চিকিৎসকদের সাফল্যে ৩০ বছর পর মুখে হাসি ফিরল
৫৫ বছর বয়সী এমদাদ হোসেনের মুখের চোয়ালজুড়ে থাকা নারকেলের মতো বড় আকারের টিউমার সাফল্যের সঙ্গে অপসারণ করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগের সুদক্ষ টিম
৫৫ বছর বয়সী এমদাদ হোসেনের মুখের চোয়ালজুড়ে থাকা নারকেলের মতো বড় আকারের টিউমার সাফল্যের সঙ্গে অপসারণ করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগের সুদক্ষ টিম। বিগত রোজার মাসে টানা ১২ ঘন্টা অপারেশন করে ৩০ বছরের বোঝা লাঘব করেন তারা। শনিবার (১১ মে) সকালে ডক্টর টিভিকে এই সাফল্যের ঘটনা জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেলের প্রখ্যাত ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ আল মাসুদ।
তিনি জানান, ছবির এই ভদ্রলোক ৩০ বছর ধরে নারিকেলের মত বড় সাইজের একটা টিউমার তার চোয়ালে বয়ে বেড়িয়েছেন। ১০ বছর আগে একবার রংপুর মেডিকেল কলেজে ইএনটি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু এত বড় টিউমার অপারেশনের ব্যপারে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে হতাশ হয়ে ফিরে যান তিনি।
গত কয়েক মাস আগে আবারও আসেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এবার তিনি নজরে পড়েন ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আরিফুল ইসলামের। তিনি রোগীটিকে নিয়ে আমার সঙ্গে (ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ আল মাসুদ) পরামর্শ করেন। রোগীকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজেই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, রোজার মাসে টানা ১২ ঘন্টার অপারেশনের পর উনার ৩০ বছরের বোঝা লাঘব হয়। চোয়ালের বড় একটা অংশ টিউমার সহ ফেলে দিয়ে মাইক্রোভাসকুলার সার্জারী করে পায়ের হাড়, চামড়া ও মাংশপেশী নিয়ে চোয়াল প্রতিস্থাপন করে দেয়া হয় (ফিবুলা ফ্রি ফ্ল্যাপ)।
অপারেশনে অংশ নেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগের একটি দক্ষ চিকিৎসক দল। একই মেডিকেলের এনেস্থিসিয়া বিভাগের সহায়তা ও সাপোর্ট ১২ ঘন্টার এই অপারেশনটিকে সফল করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ইএনটি বিভাগ ট্রাকিওস্টোমি করে এই রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করেন। সব মিলিয়ে এটা ছিলো একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম এফোর্ট।