করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে গবেষণার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-05-09 18:59:25
করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে গবেষণার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় ধরণের গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সম্মিলিতভাবে এই তাগিদ দেন।

সভায় করোনার টিকা গ্রহণের পরবর্তীতে মানবদেহে কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা নিয়েও গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের ফলে মানুষের শরীরে কি ধরনের প্রভাব ফেলেছে সেটিও গবেষণার সাথে যুক্ত করার উপর বিশেষজ্ঞরা মত দেন। এই গবেষণায় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের অংশ হিসেবে মানুষের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। যেমন স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, খিটখিটে মেজাজ ও রুক্ষ আচরণ করা, বিভিন্ন ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, হৃদরোগ, কিডনী ফেলিউর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই গবেষণার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে না পারলে মানবজাতি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

করোনার টিকা গ্রহণের পর মানবদেহে কোনো জটিলতা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টিও গবেষণার সাথে যুক্ত করার উপর বিশেষজ্ঞরা বার বার তাগিদ দেন। গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন যথাযথ আর্থিক ফান্ডের নিশ্চয়তা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলেই মানবজাতির কল্যাণে সময় উপযোগী এই গবেষণার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে বলে সভায় অংশগ্রহণকারী দেশের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রোভিসি (একাডেমিক) বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনী ডিজিজেজ এন্ড ইউরোলজির নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মাসুদ ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দীপল কৃষ্ণ অধিকারী, কিডনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. রানা মোকাররম হোসেন, অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক, উপ-রেজিস্ট্রার ডা. জি এম সাদিক হাসান উপস্থিত ছিলেন।


আরও দেখুন: